ঢাকা, শুক্রবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘লকডাউন’ শেষে ঘাটে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
‘লকডাউন’ শেষে ঘাটে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য স্বাভাবিক লঞ্চঘাট। ছবি: বাংলানিউজ

মাদারীপুর: লকডাউন শেষে মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে ফিরে এসেছে স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্য। নৌরুট ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার (১১ আগস্ট) ভোর থেকে শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল।

 

দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে দূরপাল্লার বাস। এছাড়া লোকাল বাস, মাইক্রোবাস চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ঘাটের টার্মিনালে ব্যস্ত সময় পার করছে পরিবহন চালক ও শ্রমিকেরা। ঘাটের টার্মিনালে বন্ধ থাকা দোকানগুলোও ভোর থেকে খোলা হয়েছে। ক্ষণে ক্ষণে বাজছে লঞ্চের সাইরেন। সব মিলিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে ব্যস্ততম বাংলাবাজার ঘাট।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে নৌরুটে লঞ্চ চালু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। লকডাউন শেষে সকাল থেকেই দূরপাল্লার বিভিন্ন জেলা থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস চলাচল শুরু করেছে। গণপরিবহন চালু হওয়ায় ঘাট এলাকায় আগের মতো ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে। পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যেও রয়েছে ব্যস্ততা। ঘাটের বাস কাউন্টার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে সংশ্লিষ্টরা। লকডাউন না থাকায় ঘাটে গন্তব্যস্থলে যাওয়া যাত্রীদের ভিড় রয়েছে বুধবার সকাল থেকেই।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন শেষ হলে বুধবার সকাল থেকে নৌরুটে লঞ্চ চালু হয়েছে। এতে করে ফেরিতে সাধারণ যাত্রীদের পারাপার কমেছে। যাত্রীদের বেশিরভাগই লঞ্চে পার হচ্ছে। ফেরিঘাটে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে আছে।  

এছাড়াও নিয়মিত আসা ছোট যানবাহনের সংখ্যাও বুধবার ভোর থেকে বেড়েছে। সকাল থেকে নৌরুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিতে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, মোটারসাইকেল পার করা হচ্ছে। তবে ভারী যানবাহনের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যান সীমিত সংখ্যক করে পার করা হচ্ছে।

বরিশাল থেকে আসা যাত্রীরা বলেন, অনেকদিন পর স্বস্তি নিয়ে ঘাটে আসতে পারলাম। বরিশাল থেকে গাড়িতে উঠেছি। সরাসরি ঘাটে এসে নামলাম। জরুরি কাজে ঢাকা যাচ্ছি। মানসিকভাবে বেশ শান্তি লাগছে। সব গাড়ি চলছে। লঞ্চ চলছে। পথের ভোগান্তি দূর হয়েছে।

গোপালগঞ্জের যাত্রী আনিকা আক্তার বলেন, লকডাউন না থাকায় বাস চলছে। ফলে স্বস্তিতে ঘাটে আসতে পেরেছি। যদিও ভিড় রয়েছে। তারপরও ঢাকায় যেতে পথে পথে হাঁটতে হবে না। চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে।

তিনি আরও বলেন, সব বাসে যাত্রী নামানোর পরে স্যানিটাইজার দিয়ে স্প্রে করা উচিত। এছাড়াও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। এভাবেই আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার অভ্যাস করতে হবে।

বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, টানা ১৯ দিন পর নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে নৌরুটের ছোট-বড় ৮৭টি লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। লঞ্চ চলাচলের ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এছাড়া আগের মতো যাত্রীদের ভাড়া ৩৫ টাকাই থাকছে। ঢাকাগামী এবং ঘরমুখো সব যাত্রীদেরই ভিড় সকাল থেকে রয়েছে লঞ্চঘাটে।

বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, নৌরুটে মোট ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে। লকডাউনের আগের নিয়মেই লঞ্চ চলবে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত।

বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নৌরুটে ১০টি ফেরি চলছে। ফেরিতে ভারী যানবাহন পারাপারের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তের কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ফেরিতে ভারী যানবাহন সীমিত সংখ্যক পার করা হবে। ঘাটে এখনো অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।