ঢাকা: সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার কথা ভেবে কঠোর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে সরকার। তবে এখনো অনুমতি দেওয়া হয়নি সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের।
শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে বিয়ের সামগ্রীর বিভিন্ন দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে বিয়ের সামগ্রীর গোটা বিশেক দোকান রয়েছে। তার কোনোটিতেই ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়নি। দুয়েকটা দোকানে কিছু ক্রেতা থাকলেও তারা মূলত দেখতেই সেখানে গিয়েছেন।
লকডাউনের পর বিয়ের বাজারের বিষয়ে সানাইয়ের মালিক এ এইচ এম মুজিবুল আলম রনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ব্যবসা খুবই খারাপ। লকডাউন তুলে দেওয়ার পর প্রতিদিনই দোকান খুলছি। কিন্তু ক্রেতাদের দেখা পাওয়া কঠিন। সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন এলেও এতে দোকানের খরচই উঠে না।
পালকির ব্যবস্থাপক আতিক হাসান বলেন, ব্যবসা নেই বললেই চলে। কোনো মতে বনি-বাট্টা হয়। এখনো বিয়ের বাজার জমেনি।
লগন-১ এর মালিক কামাল হোসেন বলেন, শুনছি আগামী ১৯ আগস্ট থেকে সবকিছু খুলে দেবে। তখন থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হবে। সে সময় ব্যবসা ভালো হবে আশা করা যায়।
এলিফ্যান্ট রোডের দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে বরের শেরওয়ানি ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, পাগড়ি দেড় হাজার থেকে তিন হাজার টাকা, নাগরা জুতা দেড় থেকে ছয় হাজার টাকা, বরণডালা ২২০ থেকে ৮০০ টাকা, কুলা ১২০ থেকে ৬০০ টাকায় পাওয়া যায়।
আরো পাওয়া যায় বাটি/প্রদীপ, রাখী, উপটান, সোন্দা, চন্দন, হলুদ, চন্দন তেল, সোহাগপুরী, আলতা, মেহেদী, পাটি, হলুদ তোয়ালে, আফসান, রুমাল, পালকি, ঝুড়িসহ বিয়ের সব সরঞ্জাম।
এর বাইরে বিয়ের সাজ-পোশাকের কিছু কিছু আইটেম ভাড়াও পাওয়া যায়। শেরওয়ানির ভাড়া পড়ে তিন থেকে আট হাজার টাকা, পাগড়ি ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা।
হিন্দু বিয়ের যাবতীয় সরঞ্জাম পাওয়া যায় পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজারে। এখানে দেশির পাশাপাশি ভারতীয় পণ্যের পণ্যও পাওয়া যায়। এখানকার বাজারও এখনো জমেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২১
ডিএন/আরবি