বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোংলায় হরিণ শিকার না করার জন্য শপথ ও স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন সুন্দরবনের ৯ হরিণ শিকারি।
সোমবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ কার্যালয়ে বন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই শিকারিরা নিজেদের অপরাধ শিকার করে আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণকারী হরিণ শিকারিরা হলেন- সাজ্জাক ব্যাপারি (২৫), এমদাদুল সরদার (২৮), মহিদুল শেখ (৩০), রেজাউল শেখ (৩৫), জাহাঙ্গীর মোল্যা (৩০), বাচ্চু মৌছাল্লি (৩৫), আতাউর খাঁন (৩৫), রুবেল শেখ (২৮) ও ফরিদ জোমাদ্দার (৩৮)। তাদের বাড়ি উপজেলার সুন্দরবন ও চিলা ইউনিয়নে।
আত্মসমর্পণের সময় পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. এনামুল হক, চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান, চাঁদপাই রেঞ্জের সহ-ব্যবস্থাপনা সংগঠন সিএমসির বর্তমান আহ্বায়ক ও সাবেক চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম রাসেল, ইউপি সদস্য অলিয়ার রহমান সরদার ও বনকর্মী মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আত্মসমর্পণকারীরা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার, কীটনাশক দিয়ে মাছ আহরণসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না। বন কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই অপরাধের শাস্তি, হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ শিকারের সুদূর প্রসারী কুফল বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে তারা অনুতপ্ত হয়ে বনকর্মকর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তিন মাস আগেও ১৮ হরিণ শিকারি আত্মসমর্পণ করেছিলেন। যারা এখন আর বনে যায় না। যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। বনকর্মকর্তা ও স্থানীয় সচেতন মহলের সহায়তায় চোরা শিকারিরা ভাল পথে আসতে শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
আরএ