নোয়াখালী: ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবে নিখোঁজ হওয়া ২৭ জনের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২৩ জন।
সোমবার (১৬ আগস্ট) পুলিশ ও কোস্টগার্ড তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার সন্দ্বীপের সারিকাইত এলাকায় সাগর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘অপরাজেয় বাংলা’র মাধ্যমে সাগরে অভিযান চালিয়ে একজন ও সন্দ্বীপ পুলিশ একটি মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া রোববার (১৫ আগস্ট) নৌবাহিনী একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে এখনও কাজ করছে কোস্টার্ডের দুইটি জাহাজ।
সন্দ্বীপ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুর আহমেদের বরাত দিয়ে ওসি রফিকুল ইসলাম আরো জানান, সোমবার সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের সাগর পাড় থেকে ৪০ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে ভাসানচর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ৪১ জন রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ২৭ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ হয়।
শনিবার (১৪ আগস্ট) ভাসানচরের নৌবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ শংকর বিশ্বাস জানান, ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার গভীর রাতে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলার পর বৈরী আবহাওয়ার কারণে উল্টে যায় ট্রলারটি। মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা ১৪ জনকে উদ্ধার করে শনিবার ভোরে ভাসানচরে পৌঁছে দেয়। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে নামে কোস্টগার্ডের ভাসানচর, সন্দ্বীপ ও সারিকাইত স্টেশন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
আরএ