ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু স্বদেশ বিনির্মাণে সফল নায়ক: পলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
বঙ্গবন্ধু স্বদেশ বিনির্মাণে সফল নায়ক: পলক

ঢাকা: স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ বিনির্মাণে সফল নায়ক উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আন্দোলন-সংগ্রাম, ত্যাগ ও সাহসিকতা দিয়ে নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুধু মহান স্বাধীনতার স্থপতিই নন, স্বদেশ বিনির্মাণের নায়ক।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ মাত্র সাড়ে নয় মাসে একটি সংবিধান উপহার দেওয়ার নজির পৃথিবীর ইতিহাস খুঁজলে দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না।

বুধবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। আইসিটি বিভাগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৪ বছরের শোষণ, নির্যাতন ও নিষ্পেষিত একটি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লক্ষাধিক ধর্ষিতা-নির্যাতিতা মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা লাভ করে। সেই সময় পাকিস্তানি সেনারা ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট পুড়িয়ে দিয়েছিল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংক ও বাণিজ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন।

বাংলাদেশে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যা কিছু আজ আছে তার সবকিছুর ভিত্তি শেখ মুজিবুর রহমান রচনা গেছেন উল্লেখ করে পলক বলেন, ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ  পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ইপিআরের ওয়ারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রচার করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর স্যাটেলাইটের অরবিটাল ফ্রিকুয়েন্সি বরাদ্দ প্রদানকারী সংস্থা জাতিসংঘের আইটিইউ-এর সদস্য পদ গ্রহণ করেছিলেন। বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে ড. কুদরত-খুদার মতো একজন বিজ্ঞানীকে শিক্ষানীতি প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করলে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি বাধা ও সংগ্রাম সহজেই অতিক্রম করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন পলক। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম, বাংলাদেশ ও বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে মুজিব হানড্রেড ডট গভ ডট বিডি, বঙ্গবন্ধুর ওপর দুটি কুইজ প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কুইজের আয়োজন করেছি। এ সাইটে দেশে এবং বিদেশে কোটি কোটি মানুষ ভিজিট করছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন ও নির্দেশনাগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছে। অনুশীলন এবং গবেষণা করতে পারছে।

আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, বিসিএস-এর সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
এসএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।