ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মহম্মদপুরের ১২৪৪ জন পাচ্ছেন না বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
মহম্মদপুরের ১২৪৪ জন পাচ্ছেন না বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা 

মাগুরা: মহম্মদপুর উপজেলায় অধিকাংশ ভাতার অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হলেও মোবাইল বন্ধ থাকা বা অন্য কারণে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ১২৪৪ জন ভাতাভোগীর ভাতার টাকা উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়ে ৬৮০ জনের নাম উল্লেখ করে মহম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে উপজেলা সমাজসেবা অফিস।

পরবর্তীকালে বাকি ৫৬৪ জনসহ সবার নামের তালিকা সম্প্রতি অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অফিসের কর্মকর্তা কাজী মো. জয়নুর রহমান।  

তিনি আরো বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতার টাকা দেওয়ার শুরু হওয়ার পর থেকে এই উপজেলার ভাতাভোগীরা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। কিছু অসৎ লোকের কারণে সাধারণ মানুষ এই ভাতার টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  

সমাজসেবা অফিস থেকে জানানো হয়, এমআইএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে এমএফএসভুক্ত সকল ইউনিট হতে ভাতাভোগীদের মোবাইল হিসাবে ২০২০-২১ অর্থ বছরের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ কিস্তির ভাতার পেরোল পাঠানো হয়েছে এবং ইএফটির মাধ্যমে ভাতাভোগী ভাতার অর্থপ্রাপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু কোনো কোনো ইউনিট হতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুলক্রমে প্রকৃত ভাতাভোগীর মোবাইল হিসাব ভিন্ন অন্য মোবাইল হিসাবে অর্থ পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক ভূল নম্বরে পাঠানো অধিকাংশ ভাতার অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। মোবাইল বন্ধ থাকা কিংবা অন্য কারণে বাকি ভাতার অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্থানীয় থানায় জিডির নির্দেশনা দিয়েছেন।

অফিস থেকে আরো জানানো হয়, এই উপজেলায় ১১ হাজার ৩৮ জন পান বয়স্ক ভাতা, ৫ হাজার ৬৩৩ জন পান বিধবা ভাতা এবং ৩ হাজার ৩৫৭ জন পান অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা। এদের মধ্যে ১৬৩ জন প্রতিবন্ধী, ৬৩৬ জন বয়স্ক এবং ৪৪৫ জন বিধবার ভাতার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাজী মো. জয়নুর রহমান বলেন বাংলানিউজকে বলেন, যেসব ভাতাভোগীর ভাতার টাকা উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না তাদের নাম, ঠিকানা, আইডি নম্বর বিকাশ বা নগদ মোবাইল নম্বর, ভাতার পরিমাণ, ভুল মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে ১২৪৪ জনের নামের তালিকা সমাজসেবা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মহম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি নিয়ে এনএসআই অর্থাৎ জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা শাখা তদন্ত করছে।

এর আগে, সমাজসেবা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ভাতার টাকা না পেয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০ জন ভাতাভোগী কান্নাকাটি করে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন। সমাজসেবা অফিসে ধর্ণা দিয়েও কোনো কূল কিনারা করতে পারেননি তারা। তাদের টাকা চলে গেছে অজ্ঞাত নাম্বারে। ওষুধ এবং খাবার খরচের জন্য ভাতার টাকার উপর নির্ভরশীল এসব লোকদের এখন অসহায়ত্ব আরো বহুগুনে বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।