ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ইউএনওর ক্ষমতার অপব্যবহার, দাবি বিসিসির কর্মকর্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১
ইউএনওর ক্ষমতার অপব্যবহার, দাবি বিসিসির কর্মকর্তার কথা বলছেন বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশালের থানা কাউন্সিল কম্পাউন্ডে বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে দেখছেন বলে দাবি করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।

শর্টগানের গুলিতে আহত ওই কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ভোরে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, বরিশাল নগরে বিভিন্ন এলাকায় থাকা অবৈধ ব্যানার অপসারণ নিয়মিত কাজ। সেই কাজের অংশ হিসেবে থানা কাউন্সিলে কিছু ব্যানার টানানো যা কিনা শোকের মাসের সঙ্গে যাচ্ছিলো না। তাই ওই ব্যানারগুলো অপসারণের লক্ষে সেখানে যাওয়া হয়। কম্পাউন্ডে যাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের স্টাফদের বাধা ও খারাপ ব্যবহার শুরু করেন এবং সেখানে কাজ না করার জন্য বলেন। এর দুই-এক মিনিটের মধ্যেই তিনি খারাপ ভাষা ব্যবহার করে গুলি চালানোর জন্য আনসার সদস্যদের নির্দেশ দেন। আমার চোখের সামনেই ঘটে এই ঘটনা। তখন বেশ কিছু লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে, যে যেভাবে পেরেছেন প্রাণ বাঁচানোর জন্য সবাই দৌড়াচ্ছিলেন। পরবর্তীতে মেয়র বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে যান এবং মেয়র একা ভেতরে প্রবেশ করার সময় আনসার সদস্যরা গুলি ছোড়েন।

বিসিসি প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। আর আমাদের কর্মচারী ও আমরা তো নিরস্ত্র তাহলে অস্ত্রের সামনে কীভাবে হামলা চালানো সম্ভব।

ওই কর্মকর্তা বলেন, সিটি করপোরেশনের কাজ মানে সরকারি কাজেই বাধা দেওয়া। আর গেল রাতের ঘটনা প্রচণ্ডভাবে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার শামিল। ইউএনও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশালের থানা কাউন্সিল (উপজেলা পরিষদ) কম্পাউন্ডে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লক্ষ্য করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আনসার সদস্যদের গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।  

অপরদিকে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি বাসভবনে হামলার অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ঘটনার পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনায় সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্যানেল মেয়র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগের ৩০ নেতাকর্মী, পুলিশের ৫ সদস্যসহ আনসারের ২ সদস্য আহত হয় বলে জানা গেছে।

এদিকে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা সড়কে ময়লা ও যানবাহন ফেলে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। পরে রাতভর সেখান দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।