শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের আলুরবাজার ফেরিঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক যানবাহন। ফেরি পারাপারে দেরি হওয়ায় ঘাট এলাকায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
পদ্মা ও মেঘনা নদীতে পানি বৃদ্ধি এবং তীব্র স্রোত থাকায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটেছে। এখন অতিরিক্ত পাঁচ কিলোমিটার নৌ-পথ পাড়ি দিয়ে হরিণাঘাটে পৌঁছাতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-পথে যানবাহন পারাপারের জন্য সাতটি ফেরি রয়েছে। প্রতিটি ফেরি ২৪ ঘণ্টায় ছয় থেকে সাতটি ট্রিপ দিতে পারে। ভেদরগঞ্জের আলুরবাজার ফেরিঘাট থেকে চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। এই রুটে প্রতিদিন ৪৫০ থেকে ৫০০ যানবাহন পারাপার করা হয়।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে। এছাড়া স্থলবন্দর বেনাপোল, ভোমরা ও নৌ-বন্দর মোংলা, পায়রার পণ্যবাহী যানবাহন এ পথে দিয়েই চলে।
সম্প্রতি পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরি ধাক্কা দিলে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-পথে পণ্যবাহী ফেরি চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ জারি করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। ওই নৌ-পথে চলাচলকারী পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে বিকল্প নৌ-পথ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আলুরবাজার ফেরিঘাটের ইজারাদার ও চরসেনসাস ইউপি চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার যানবহন এই রুটে চলাচল করে। বর্ষা এলেই নদীতে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যায় বলে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ঘাটগুলোতে এখন ফেরির সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। বিআইডব্লিউটিসিকে ফেরি বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির আলুরবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন বাংলানিউজকে বলেন, স্রোতের কারণে ফেরিগুলোকে অতিরিক্ত পথ চলতে হচ্ছে। এ কারণে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে নৌ-পথ পাড়ি দিতে। এখন অর্ধেক পরিমাণ গাড়ি পারাপার করা যাচ্ছে।
এছাড়া বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-পথে ফেরিতে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে কিছু বিধি-নিষেধ থাকায় আলুরবাজার ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েছে।
বাংলঅদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১
এমআরএ