ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

তিন মাসেও ধীরাজ পাল হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২১
তিন মাসেও ধীরাজ পাল হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি ...

সিলেট: সিলেটে প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘঠিত দিরাজ পাল হত্যার ক্লু তিন মাসেও উদঘাটন হয়নি। গত ২৮ মে (শুক্রবার) দুপুরে সিলেটের বালাগঞ্জে উপজেলার গহরপুরে ইটভাটার সাইড অফিসে ব্যবস্থাপক ধীরাজ পাল (৬০) খুন করে দুর্বৃত্তরা।

কিন্তু হত্যার তিন মাস অতিবাহিত হতে চললেও খুনের ঘটনাটি রহস্যাবৃত্ত থেকে গেছে।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। এরমধ্যে ৫ জনকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের কোনো তথ্য আদায় করতে পারেনি পুলিশ। সন্দেহভাজন গ্রেফতারদের দুই জন জামিনে বের হয়ে গেলেও অপর ৪ জন জেল হাজতে রয়েছেন।

মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে থানা জেলা পুলিশের গোয়ন্দো শাখায় (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশের কাছে মামলাটির তদন্তে আশানুরুপ কোনো অগ্রগতি হয়নি। যদিও পুলিশ বলছে, গ্রেফতারদের মধ্যেই হত্যার সঙ্গে জড়িতরা থাকতে পারে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদর্শক মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, হত্যার ঘটনায় যাকেই সন্দেহ হচ্ছে, তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আশাব্যঞ্জক কোনো তথ্য পাইনি। হত্যার কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারিনি।

তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী এই মামলার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। তবে কিছুটা সময় লাগবে।

ধীরাজ পাল হত্যার পরদিন ২৯ মে বালাগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ছেলে প্রভাকর পাল বাপ্পা।

মামলার এজাহার ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ধীরাজ পাল ৮ বছর ধরে গহরপুরের ওই ইটা ভাটায় ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুর এলাকার মৃত দিজেন্দ্র পালের ছেলে। ইটাভাটায়ই রাত্রিযাপন করতেন ধীরাজ। প্রতি শুক্রবার সেখান থেকে আলমপুরে নিজ বাড়িতে আসতেন। ২৮ মেও ছিল শুক্রবার।

ওইদিন বিকেলে তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তবে শুক্রবার দুপুরেই ইটভাটায় নিজ কার্যালয়ের সামনে মাথা ও শরীর ক্ষতবিক্ষত করে তাকে হত্যা করা হয়।

তিন মাসেও হত্যা রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী প্রভাকর পাল বাপ্পা বলেন, একটা নিরীহ লোক প্রকাশ্যে খুন হলো। অথচ পুলিশ তিন মাসেও কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারলো না। এটি আমাদের পরিবারের জন্য চরম হতাশার। আরও অনেক ঘটানার মতো এই হত্যা মামলাও ছাইছাপা পড়ে যাবে। আর আমরা ন্যায়বিচার বঞ্চিত হবো।

এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিনদ উদ্দিন বলেন, পুলিশ এই হত্যারহস্য উদঘাটনে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। এ কারণে থানা থেকে মামলাটি ডিবিতে আনা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা এখনো রহস্য উদঘাটন করতে পারিনি। তবে আমার ধারণা যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের মধ্যেই হত্যাকারী রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২১
এনইউ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।