ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নগর ভবনের পাশেই এডিসের প্রজনন ক্ষেত্র

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২১
নগর ভবনের পাশেই এডিসের প্রজনন ক্ষেত্র ...

নারায়ণগঞ্জ: খোদ নগর ভবনের ঠিক পাশেই এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র, এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এলাকাবাসী। অনেকবার বলেও ডোবা-নালাগুলো পরিষ্কার করাতে পারেননি তারা।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নগর ভবনের ঠিক পাশের গলিতে (ছালাপট্টি হিসেবে পরিচিত) পুরাতন বস্তা বিক্রির দোকানগুলোর মধ্যে থাকা ড্রেনগুলো এখন এডিসের প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনা ও পানি জমে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে দুর্গন্ধের। বারবার নাসিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।

জানা যায়, ২০২০-২০২১ সালের বাজেটে নাসিক এলাকায় মশক নিধনে ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনা হয়ছে। সিটি করপোরেশনের বাজেট বইয়ের চতুর্থ পাতায় একথা বলা থাকলেও এ যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন নাসিক কর্মকর্তারা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আজাদ হাসান সিফান বলেন, এখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করি। ড্রেনের ময়লায় এখন মশার উপদ্রব অনেক বেড়েছে। এখানে মশার ওষুধ দেয় না সিটি করপোরেশন। আমরা একাধিকবার নগর ভবনে গিয়ে অনুরোধ করে এসেছি, তারা আসি-আসব, দিব-দিচ্ছি করে দেয় না।

স্থানীয় বাসিন্দা ময়না হোসেন জানান, এখন ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় আমরা ভয়ে আছি। ঘরে মশারি ছাড়া থাকা যায় না। এমনিতেই এলাকাটি নোংরা, তার ওপর  ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের পদক্ষেপের ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী জানান, একটু ব্যস্ত আছেন, প্রধান নির্বাহী (সিইও) এ ব্যাপারে অবগত আছেন এবং তার কাছে সব তথ্য রয়েছে।

এ ব্যপারে জানতে নাসিকের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আবুল আমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তার কাছ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।