ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মার ভাঙনের মুখে ৩ স্কুল-ক্লিনিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২১
পদ্মার ভাঙনের মুখে ৩ স্কুল-ক্লিনিক ছবি: বাংলানিউজ

ফরিদপুর: পদ্মা নদীতে অব্যাহত ভাঙনে ঝুঁকিতে পড়েছে ফরিদপুরের তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। যেকোনো সময় নদীতে বিলীন হতে পারে জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াডাঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিক এবং চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দারা বাংলানিউজকে জানান, গত ২৬ আগস্ট দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা ও সোমবার (৩০ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ভাঙনের কবলে পড়েছে তাদের গ্রাম। ফলে গ্রামের কাঁচা রাস্তাসহ প্রায় ৪০ শতাংশ জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, ক্রমাগত নদী ভাঙনের ফলে বর্তমানে ঝুঁকিতে পড়েছে গ্রামের স্কুল ও ক্লিনিক। ভাঙনরোধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি বাসিন্দাদের।

বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৮৮ সালে স্থাপিত হলেও ১৯৯৮ সালের বন্যায় বিদ্যালয়ের ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে ২০০৬ সালে বর্তমান জায়গায় বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়। নির্মাণ করা হয় দ্বিতল একটি ভবন। কিন্তু সেটিও এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ১০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছে পদ্মা নদী।

বালিয়াডাঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিকের নতুন একতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয় ২০১৮ সালে।  

ওই ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার খালেদা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, নদী এখন ক্লিনিকের খুব কাছে চলে এসেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ক্লিনিকটি বিলীন হয়ে যাবে।

একইভাবে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই স্কুলের ৪০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছে পদ্মা নদী।

ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৭০ সালে স্থাপন করা হলেও ১৯৯৭ সালের ভাঙনে বিদ্যালয়টি বিলীন হয়ে যায়। পরে বর্তমান জায়গায় চারচালা একটি টিনের ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সাতদিন আগে বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কারণে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ও চারজন শিক্ষকের জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী, ফাজেলখারডাঙ্গী ও সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে ভাঙনরোধে ১৫ হাজার ৮৯৪টি জিও ব্যাগ (বালুভর্তি বিশেষ ব্যাগ) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফাজেলখারডাঙ্গীতে ৫ হাজার ১৩টি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গীতেও জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ হাজার জিও ব্যাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।