সিরাজগঞ্জ: যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে এখনও বেড়েই চলেছে। সব স্থানে পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে।
এরই মধ্যে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। চরাঞ্চলের বাড়িগুলোতেও উঠতে শুরু করেছে পানি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ১৩ দশমিক ৭৫ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর (বিপৎসীমা ১৩.৩৫ মিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুর পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬৭ মিটার।
পাউবো আরও জানায়, ২৪ ঘণ্টায় পানি ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপরে (বিপৎসীমা-১৫.২৫ মিটার) রয়েছে। অপরদিকে বাঘাবাড়ি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮৩ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১০.৪০ মিটার)।
পাউবোর গেজ রিডার আব্দুল লতিফ, খন্দকার সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, সিরাজগঞ্জের সব পয়েন্টেই যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানি বৃদ্ধি এখনও অব্যাহত রয়েছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পানি বাড়বে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে।
এদিকে যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, করতোয়া, ইছামতি ও বড়াল নদীর পানিও বাড়ছে। সব নদ-নদীতে পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি একেবারে নিচু এলাকায় বাড়িঘরেও পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হানিফ জানান, গত কয়েক দিনে অব্যাহতভাবে পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের ৪ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এসব ফসলের মধ্যে রোপা আমন, বোনা আমন, আগাম সবজি, আখ বীজতলা ও বাদাম রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, বন্যাকালীন দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সাড়ে পাঁচশ’ টন চাল ও নগদ আড়াই লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। এছাড়াও উপজেলাগুলোতে মোট ১২৫ টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২১
এসআই