ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিজয়নগরে ইউএনও-এসিল্যান্ডসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
বিজয়নগরে ইউএনও-এসিল্যান্ডসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এমপিওভুক্ত এক শিক্ষককে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ‘পেশ ইমাম’ নিয়োগ দেওয়ায় অনিয়মের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) মো. শফিকুল ইসলাম নামে এক চাকরিপ্রার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম জেলা জজ (প্রথম) আদালতে মামলাটি করেন।

মামলায় নিয়োগ পাওয়া  শিক্ষক মো. মেজবাহ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন- বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলার আউলিয়ানগর সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। (তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত। )

মামলায় অভিযোগ করা হয়, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তালিকার ছয় নম্বরে থাকা মো. মিছবাহ উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের জন্য যেসব অভিজ্ঞতা প্রয়োজন সেগুলো মেছবাহ উদ্দিনের নেই। পাশাপাশি তিনি মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষক। এমপিও নীতিমালা ২০২১ অনুসারে তিনি মডেল মসজিদে নিয়োগ পেতে পারেন না।

নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, মডেল মসজিদে পেশ ইমামসহ চারজনের নিয়োগ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পেশ ইমাম পদে ৪০ জনের আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ১৮ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। ২৩ জুন লিখিত পরীক্ষা শেষে সাতজন উত্তীর্ণ হওয়ার কথা জানিয়ে নোটিশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম ইয়াসির আরাফত। পরে তালিকার ছয় নম্বরে থাকা মিছবাহ উদ্দিনকে গত ১২ আগস্ট এক আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মামলার বাদী মো. শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ২৩ জুন প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণের তালিকায় মিছবাহ্ উদ্দিনের নাম ছয় নম্বরে থাকলেও গত ১২ আগস্ট তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের বিপরীতে চাওয়া সব ধরনের যোগ্যতাও ওই ব্যক্তির নেই। স্কুল চলাকালীন তার পক্ষে মসজিদের কার্যক্রম পরিচালনা করাও সম্ভব নয়। ফলে আইন ও নীতিগত কারণে নিয়োগটি অবৈধ।    

এ ব্যাপারে মামলার আসামি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মো. নূরুল ইসলাম ফোনে জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া যাবে কি-না সে বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে কোনো নির্দেশনা ছিলো না। মামলার কপি না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।

এ ব্যাপারে বিজয়নগরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসারকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।