ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে

ঢাকা: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে শক্তিশালী করে সব স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।  

একই সঙ্গে জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে আয়োজিত কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার- ইএএলজি প্রকল্পের আওতায় করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনা সারাবিশ্বে গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে যত বেশি শক্তিশালী করা যাবে তত বেশি উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে এসে মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন এবং আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। আর এ জন্য দরকার জনগণের অংশগ্রহণ।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে এ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেবা দেওয়ার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ যখন জানবে সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার নির্মূল করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছে তখনই আস্থা ও বিশ্বাস জন্মাবে।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পূরণের জন্য শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষক-শ্রমিক, মৎস্য চাষি অথবা অন্য যে কোনো পেশার মানুষ  হোক না কেন সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কাউকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। গ্রামাঞ্চলে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ সব অবকাঠামো নির্মাণ অবশ্যই পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। শুধু শহরে নয় প্রত্যন্ত গ্রামকেও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে। গ্রামগুলো এখনো অক্ষত রয়েছে সেগুলো ক্ষত-বিক্ষত করা যাবে না। এজন্য গ্রামাঞ্চলে যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি। এছাড়া প্রকল্পভুক্ত নয়টি জেলার জেলা প্রশাসক, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার (ডিডিএলজি), ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর এবং প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এ সময় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মধ্যে নগদ অর্থ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার জন্য পানির কল, সাবান, কাপড়ের মাস্ক ও সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।