চাঁদপুর: চাঁদপুরে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পদ্মা পরিবহনের বাস চালক মিজান মোল্লা (৪০) মৃত্যুর ঘটনায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন শ্রমিকরা। এতে চাঁদপুর থেকে সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে চাঁদপুর বাসস্ট্যন্ড থেকে কয়েকটি বাস ছেড়ে গেলেও সকাল ৯টার দিকে শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পৌর বাসস্ট্যান্ডের বেশ কয়েকটি কাউন্টার ও আশপাশে ভাংচুর করে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবস্থান নেয়।
জানা গেছে, রবিবার চাঁদপুর সদরের চাঁদখার বাজার এলাকায় পদ্মা বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে এক শিশু নিহত হয় এবং আহত হয় বাসের ১০ যাত্রী। বাস দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় বাসের চালক মিজান মোল্লা। কিন্তু পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা কোনোপ্রকার সহযোগিতা না করায় বিনা চিকিৎসায় রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
চালক মিজানের বাড়ি চাঁদপুরের শহরতলীর ওয়াবদা গেইট এলাকায়।
শ্রমিকদের উন্নয়নে পরিবহন ও মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের কাজ করার কথা থাকলেও কোনো বিপদে তাদেরকে আমরা পাশে পাই না। আমাদের এক বাস চালক ভাই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। কোনো নেতাই সহায়তা দূরে থাক তার খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি। এমনকি সকালে তার জানাজায়ও আসেনি তারা। অথচ শ্রমিকদের কল্যাণে প্রতি বাস থেকে নিয়মিত চাঁদা দেওয়া হয়।
তারা বলেন, ওই নেতারা পৌর বাস টার্মিনালের কোনো অবকাঠামো উন্নয়ন করেনি। তারা আমাদের কষ্টের টাকা আত্মসাৎ করছে প্রতিনিয়ত। মিজানের মতো অনেকেই বিনা চিকিৎসা এবং সহযোগিতার অভাবে মারা গেছে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, বাস দুর্ঘটনায় মিজান নামে চালক নিহত হওয়ার ঘটনায় শ্রমিকরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ ও বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। তাদের অভিযোগ, বিনা চিকিৎসা ও সহযোগিতার অভাবে চালক মিজান মারা গেছে। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি, যাতে দ্রুত এটি সমাধান করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
এনএইচআর