হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় হাওরে বেড়াতে যাওয়া নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ নিয়ে ছয় আসামি গ্রেফতার হলেও বাকি দুইজন এখনও পলাতক।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি।
এর আগে রোববার দিবাগত রাতে লাখাই থানা পুলিশ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার ইসলামপুর বউবাজারের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার তিনজন হলেন- লাখাই উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২), একই গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩) ও নিজাম মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫)।
১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য সোমবার বিকালে এদেরকে হবিগঞ্জ আদালতে নেয়া হয়েছে।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতার তিনজন পাহাড়ের পাদদেশে বাঁশ ও কাঠের তৈরি একটি ঘরে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানকার সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি বাংলানিউজকে জানান, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আদালতেও তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট এক নারী স্বামী ও তার বন্ধুর সঙ্গে স্থানীয় টিক্কাপুর হাওরে নৌকায় করে বেড়াতে যান। এ সময় সঙ্গে থাকা স্বামীসহ দু’জনকে বেঁধে ওই নারীকে দল বেধে ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী।
মামলার আগের দিনই লাখাই উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের ইকবাল হোসেন ছোট্ট মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সোলায়মান রনি (২২), একই এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১) এবং রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়াকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। বাকী দুই আসামী এখনও পলাতক। তাদের উভয়ের নাম মুছা মিয়া।
* লাখাইয়ে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
এনএইচআর