ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে অপবাদ না দেওয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে অপবাদ না দেওয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতন আহত গৃহবধূ সাদিয়া

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব ও ধর্ষণচেষ্টার অপবাদ না দেওয়ায় সাদিয়া আকতার শাহনাজ (২২) নামে এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভাসুরের (স্বামীর বড় ভাই) বিরুদ্ধে।

সাদিয়া আকতার শাহনাজ উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর ভেটেশ্বর গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার মদনপুর ভেটেশ্বর গ্রামের মৃত খইমুদ্দিনের ছেলে এনামুল হক ও আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিবাদ চলে আসছে তাদের চাচা সামছুল হকের। সেই বিবাদের জেরে চাচাকে ঘায়েল করতে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার কূটকৌশল করে এনামুল ও আব্দুর রাজ্জাক। এজন্য এনামুলের স্ত্রী সাদিয়া আকতার শাহনাজকে চাচা শ্বশুর সামছুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা ও কু প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ করতে চাপ দেন স্বামী এনামুল হক ও ভাসুর আব্দুর রাজ্জাক।

স্বামী ও ভাসুরের করা কূটকৌশলে রাজি না হওয়ায় গত ২৯ আগস্ট দুপুরে ভাসুর আব্দুর রাজ্জাক ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাদিয়াকে বেদম পিটুনি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে তাকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে চাচা সামছুলকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে তাকে ঘরে আটকে রাখেন ভাসুর রাজ্জাক।

স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই দিন মধ্যরাতে তার আত্মীয়-স্বজনরা এসে সাদিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পরদিন আহত গৃহবধূ সাদিয়া বাদী হয়ে ভাসুর আব্দুর রাজ্জাক ও স্বামী এনামুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ দায়েরের সাতদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আইনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আপস মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে বাদীর অভিযোগ।

ঘটনার সাতদিন পর সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের বেডে থাকা আহত সাদিয়া বাংলানিউজকে বলেন, চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে অপবাদ না দেওয়ায় তারা আমাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। আমাকে মেরে ফেলে চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করার কৌশলও করেছিল তারা। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর সাতদিন হলেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো পুলিশ আপস মীমাংসার জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছে।

আদিতমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গুলফামুল হক মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, আপস করতে বলা পুলিশের কাজ নয়। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের কাজ। যা চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।