সাভার (ঢাকা): ফেসবুকে আলোচিত মুখ ‘ভাইসাব’ এর ভিডিওতে ভাইরাল হয়েছে খানা খন্দে ভরা বেহাল অবস্থায় থাকা আশুলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের পথ জিরাবো-বিশমাইল সড়ক।
সম্প্রতি ফেসবুকে ‘উদাস মন পর্যটন কেন্দ্র-২’ নামে ভিডিওটি ‘ভাইসাব’ পেজে পোস্ট করার পর ভাইরাল হতে শুরু করে।
মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ভিডিওটির বিষয়ে জানতে একান্তভাবে দেখা করা হয় ‘ভাইসাব’ নামে পরিচিত সামিউল হক ভুইঁয়ার সঙ্গে। তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। তার জেলার ভাষায় সে অন্যরকমভাবে নানা বিষয়ে প্রতিবাদ করে থাকে। সম্প্রতি তিনি একটি জরুরি কাজে জিরাবো-বিশমাইলের সেই সড়কে গিয়েছিলেন। প্রথমবার সড়কটি দেখে দ্বিতীয়বার ভিডিও করার জন্য আবার গিয়েছিলেন। পরে সড়কের এমন দুর্দশা দেখে একটি ভিডিও করেন।
তখন কথা হয় সড়কের বিষয়সহ নানা বিষয়ে। সামিউল হক ভুইঁয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘আসলে ওই সড়কে গিয়ে আমার অভিজ্ঞতা খুবই বাজে। আমি মনে করতাম যে আমার এলাকায় একটি রাস্তা আছে সেই রাস্তা পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে রাস্তা। এটাই আমার বিশ্বাস ছিলো এতো দিন। কিন্তু ব্যক্তিগত একটি কাজে আমি সাভারে আসি। এখানে জিরাবো-বিশমাইলের রাস্তাটায় এসে আমার মনে হলো একটু খুশি বা সন্তুষ্ট হওয়া উচিত। যে আমার এলাকা থেকেও বাজে অবস্থা মানুষ ফেস করছে। তো সেই জায়গা থেকে মনে হলো আমার বিষয়টি শেয়ার করা উচিত। সেই বিষয়টি প্রকাশ করার একটি ভঙিমা এটা।
এমন সারকাজম ভিডিওর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আপনারা মনে করতে পারেন আমি এই কথাগুলো কেনো সারকাজম করে বল্লাম? আসলে সব কথা তো সরাসরি বলা যায় না বা বলা উচিত না। সেই জায়গা থেকে আমি যে মেসেজটি মানুষকে জানাতে চাই, বোঝাতে চাই বা বলতে চাই সেটা বোঝাতে পারলেই তো যথেষ্ঠ। সেটা যেকোনো ভাবেই মানুষ বুঝুক। আমার যদি মনে হয় হিন্দি ভাষায় বা হিব্র ভাষায় কথা বলে মানুষকে বুঝাবো বা আমার মনের ভাব প্রকাশ করবো তখন আমি সেই ভাষায় ব্যবহার করবো। আসলে মানুষও বুঝতেছে আমি কি বলতে চাচ্ছি। ’
এক প্রশ্নের জবাবে সামিউল হক ভুইঁয়া বলেন, আমি মুলতো সেই সড়কে দুইবার রিকশায় যাতায়াত করেছি। যেহেতু আমি ভিডিও তৈরি করবো। সেই সড়কটি সম্পর্কে আমার জানাটা জরুরি। আমি দেখলাম যে সেই রাস্তার দুই পাশে ১০টি ভবনের ভেতর আটটি ভবনই পোশাক কারখানা এবং সেখানে কাজ করে অনেক শ্রমিক। সেসব কারখানার শ্রমিকরা যখন বের হয় তখন দেখা যায় পিপরার মতন লাইন ধরে বের হচ্ছে। তো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সবসময় পোশাক কারখানার ভারী ভারী গাড়িগুলো চলে। তো এসব বিষয় দেখে এই রাস্তাটি আমার কাছে মনে হয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটি রাস্তা এতো বাজে অবস্থায় থাকতে পারে না। আমার মনে হয় এই সড়কে দ্বায়িত্বে যারা আছে তাদের সবারই উচিত বিষয়টিতে নজর দেওয়া। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এমন থাকতে পারে না। ’
সড়কটির দেখাশোনার দ্বায়িত্বে থাকা সাভার উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী সালহে হাসান প্রামানিক বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে এই সড়কটির কাজ টেন্ডারে চলে গেছে। বর্তমান অবস্থায় লাইভে আছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া হইতেও তো একটু সময় লাগে। আশা করছি খুব দ্রুত সড়কটির কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
এনটি