ফরিদপুর: বাগাট রাজকুমার মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সুনাম পুরো ফরিদপুর জুড়ে। বাগাট ঘোষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের জনপ্রিয়তাও কম নয়।
সনামধন্য প্রতিষ্ঠান দু’টিতে এতোদিন এক কেজির নামে ক্রেতাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল ৭০০ গ্রাম দই। এভাবেই কেজি প্রতি ৩০০ গ্রাম দই কম দিয়ে চলছিল তাদের রমরমা বাণিজ্য। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, অবশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে ধরা পড়ে গুণতে হয়েছে জরিমানা।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের গোয়ালচামট ও নিলটুলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ দু’টি প্রতিষ্ঠানসহ চারটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ইমাম রাজী। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮ এর ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা এতে সহায়তায় করেন।
এর মধ্যে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে বাগাট রাজকুমার মিষ্টান্ন ভাণ্ডর ও বাগাট ঘোষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ক্ষেত্রে। প্রতিষ্ঠান দু’টি এক কেজি দইয়ের নামে ৭০০ গ্রাম দই বিক্রি করে আসছিল। অর্থাৎ প্রতি কেজি দইয়ে ৩০০ গ্রাম করে দই কম দেওযা হচ্ছিল। মাপে কম দেওয়া হচ্ছিল বিভিন্ন মিষ্টিতেও। অভিযানে এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠান দু’টিকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ভেজাল খাবার পরিবেশন করায় সুইট হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁকে ১০ হাজার টাকা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রান্না করায় খন্দকার চাইনিজ রেস্তোরাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের সিনিয়র কমিশনার ইমাম রাজী জানান, মিষ্টির দোকান দু’টি প্রতি কেজি দই বিক্রি করে বিক্রেতাকে ৩০০ গ্রাম পরিমাণ দই কম দিচ্ছিল। ক্রেতা এক কেজি দই কিনলেও পাচ্ছিলেন ৭০০ গ্রাম দই। যার ফলে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছিলেন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছিল। পরে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার রক্ষায় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
এসআই