ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ফু ওয়াং বারের বিরুদ্ধে ৪১ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
ফু ওয়াং বারের বিরুদ্ধে ৪১ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির মামলা

ঢাকা: ফু ওয়াং বোলিং অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করে প্রায় ৪১ কোটি ৮ লাখ টাকার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি উদঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

একই সঙ্গে বারের মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং অপরাধ অনুসন্ধানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে চিঠি দিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গুলশানে অবস্থিত ফু ওয়াং বোলিং অ্যান্ড সার্ভিসেস লি. নামের বারটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিয়ে বারে মদ ও মদ জাতীয় দ্রব্য বিক্রয় এবং রেস্টুরেন্টে খাবারের সেবা দিয়ে আসছে।

অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হতে সি.এ. রিপোর্ট ও সংশ্লিষ্ট ভ্যাট সার্কেল অফিস থেকে মূসক সংক্রান্ত দলিলাদি সংগ্রহ করা হয়। এসব দলিলাদি আড়াআড়ি যাচাই (ক্রস চেক) করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। যাতে দেখা যায়, ফু ওয়াং বার বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকির সঙ্গে জড়িত।

অনুসন্ধানে ধারণা করা হচ্ছে বারে ব্যবহারকৃত মদজাতীয় পণ্য সংগ্রহ ও বিক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধান করার জন্য এনবিআরের শুল্ক গোয়েন্দাকে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উদঘাটিত মূসকের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য কয়েক দফায় সময় দেওয়া হলেও ফু ওয়াং বার কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখেনি।

তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট অপরিশোধিত ভ্যাটের পরিমাণ ২৩ কোটি ৭০ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬১ টাকা এবং সুদ বাবদ ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫৩ হাজাট ৪৭৯ টাকাসহ সর্বমোট ৪১ কোটি ৮ লাখ ৮ হাজার ২৪০ টাকা সরকারি রাজস্ব পরিহারের তথ্য ধরা পড়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফেরদৌসী মাহবুবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এ তদন্ত করেন।
    
তদন্তে উদঘাটিত পরিহারকৃত ভ্যাট আদায়ের আইনানুগ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে মামলাটি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা উত্তরে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরও মনিটরিং করার জন্যও সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া মাদকদ্রব্যের কোনো অপব্যবহার এবং এ সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, এ সংক্রান্ত আয়কর নথিতে কোনো অপরাধ হয়ে থাকলে তাও অনুসন্ধান করার জন্য এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলকে (সিআইসি) অনুরোধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০
এসএমএকে/এমএমজেড
    

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।