নীলফামারী: এই ঘাটাত কি মানুষ চলে বাহে—রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এ কথা বলেন সকিনা বেগম।
আশপাশে থাকা পথচারীরা দৌঁড়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের শেরেবাংলা সড়ক—বঙ্গবন্ধু পাঁচমাথা মোড় থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত ৩ কিলোমিটারজুড়ে এই বেহাল দশা।
সৈয়দপুর পৌরসভার ব্যস্ততম এই সড়ক ঘিরে রয়েছে—একটি সিনেমা হল, একাধিক সুপার মার্কেট, সৈয়দপুর থানা, উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্স, রেলস্টেশন, গুডস ইয়ার্ডসহ বাইপাস সড়কের সংযোগ স্থল ওয়াপদা মোড়। এসব কারণেই সড়কটিতে অনেক বেশি যানবাহন ও পথচারীর চলাচল। পৌরসভার সূত্র অনুযায়ী, গত ৩ বছর আগে সড়কটি মেরামত হয়েছিল।
সড়কটির পাশে অবস্থিত মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবিদ হোসেন অভিযোগ করেন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হওয়ায় সড়কটি দ্রত খানাখন্দে ভরে গেছে। তিনি এর পুনঃনির্মাণ দাবি করেন।
রিকশাচালক জিয়াউল ইসলাম বলেন, এই আস্তাত ইকশা (রিকশা) চালা কঠিন কাম বাহে। ঘুরিউল্টি (তাড়াতাড়ি) ইকশার এক্সেল ভাঙ্গি যায়। নাবের (লাভ) চ্যায়া ক্ষতি বেশি। খোরাকির পায়সা উঠে না।
একই অভিযোগ একাধিক পথচারীর। খানাখন্দের কারণে প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ তাদের।
সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (টিআই) নাহিদ পারভেজ বলেন, সড়কটির সংস্কার না হলে এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। খানাখন্দের কারণে ওই সড়কে যানজট লেগেই আছে। ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে।
সড়কের দুর্দশা নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, চলতি মাসে পৌর পরিষদের মাসিক সভায় সড়কটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই শেরেবাংলা সড়কটি পুনঃনির্মাণের আওতায় আনা হবে। জনদুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন পৌরসভার মেয়র।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
এমজেএফ