ঢাকা: বেতন বৈষম্য দূর করতে দ্রুত নবম পে-স্কেল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী জাতীয় ফোরাম। নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ারও দাবি জানান তারা।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আরও দাবি জানানো হয়- দ্রুত নবম পে-কমিশন গঠন, নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন কমিটিতে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা, নিয়োগবিধি পরিবর্তন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা উন্নীত করাসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
আউটসোর্সিং প্রথা বাতিলসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালিত-চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত কর্মচারীদের স্থায়ীরাজস্ব করণ করতে হবে, সকল দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সায়ত্বসাশিত প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেশনে কর্মরত কর্মচারীদের সচিবালয়ের ন্যায় পদ-পদবী ও গ্রেড দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
এছাড়াও ছিল, ঝুঁকি ভাতা, টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত সকলকে টেকনিক্যাল স্কেল, অতিরিক্ত কাজের জন্য অভারটাইম ভাতাসহ ১০০ শতাংশ পেনশন সমার্পন ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রচলিত প্রহসনের ৫০ টাকা রেশনভাতা বাতিল করে ১১-২০ গ্রেডের সকল কর্মচারীদের বর্তমান বাজার ব্যবস্থা অনুযায়ী রেশন দেওয়ার দাবি।
দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুমকি দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের আহ্বায়ক পরিষদের সদস্য সচিব শেখ ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ১০ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে, ২২ অক্টোবর জেলায়-জেলায় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে, ২৪ অক্টোবর জেলা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি দেওয়া হবে। তারপরও যদি পদক্ষেপ নিতে না দেখা যায়, তবে ডিসেম্বর মাসে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের আহ্বায়ক মো. মিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব শেখ ফরিদ আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক কুদ্দুস মোল্লা, জিয়াউর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, মনোয়ার হুসেন কবির ও খান আতাউর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
এমইউএম/এসআইএস