ঢাকা: রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে থাইয়ের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুমন আহমেদ (২৬) ও সবুজবাগে ডেকোরেশনের কাজ করার সময় ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শফিকুল ইসলাম (৪২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সবুজবাগে ও দুপুর ১২টার দিকে এলিফ্যান্ট রোডে পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুমন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পারদা গাবতলী গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ী সাদ্দাম মার্কেট এলাকা থাকতেন।
সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা ঠিকাদার মো. মহসিন জানান, ৩ দিন ধরে এলিফ্যান্ট রোডের একটি ভবনের তৃতীয় তলার শোরুমের জানালায় থাই লাগানোর কাজ করছিলেন তিনি। দুপুরে ভবনটির তৃতীয় তলায় ওঠার সময় ভবনের পাশের বিদ্যুতের তারে সঙ্গে অ্যালুমিনিয়াম স্পর্শ হলে অচেতন হয়ে পড়েন সুমন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢামেকে নিয়ে আসা হলে দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সবুজবাগে নিহত শফিকুল পরিবার নিয়ে খিলগাঁও শেখারজায়গা এলাকায় থাকতেন। তার বাবার নাম ইমান আলী।
দক্ষিণগাঁও চন্দ্রপুরী ডেকোরেশনের মালিক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে শফিকুল সবুজবাগ দক্ষিণগাঁও দাসপাড়া বাজার এলাকার একটি বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের ডেকোরেশনের কাজ করতে যান। সেখানে চার তলার ছাদে চারপাশে কাপড়ের পর্দা টানানো সময় নিচে পড়ে যানে সে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, দুটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাগুলো সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০. ২০২১
এজেডএস/এনএইচআর