ময়মনসিংহ: ব্লেড দিয়ে শিশু গৃহকর্মীর শরীর ক্ষত-বিক্ষত করে বাসা ছেড়ে পালিয়েছেন গৃহকর্ত্রীসহ সবাই। এমন পাশবিক ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া এলাকায়।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. সাবিনা ইয়াসমিন।
পুলিশ ও গৃহকর্মীর পরিবার জানায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া এলাকার কুশমাইল পানের ভিটা গ্রামের বাসিন্দা চা বিক্রেতা তাজিম উদ্দিনের স্ত্রী কমলা বেগম অভাবের তাড়নায় তার ৮ বছরের মেয়ে তানিয়াকে এক বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজের জন্য দেন। ওই বাসায় নিটু ও আসমা নামে দুই বোন থাকে। তাদের মধ্যে আসমা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
কিন্তু কয়েক দিন না যেতেই আসমা, তার স্বামী সাইফুল ইসলাম ও বোন নিটু মিলে নানা অজুহাতে প্রথমে তানিয়াকে মারধর শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে তারা শিশু তানিয়ার গোপনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেন। এরপর ব্লেড দিয়ে কাটা হয় তার স্তন। এতেও শান্ত না হয়ে তারা তানিয়ার সারা শরীর ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেন। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে নির্যাতনকারীরা তানিয়াকে গ্রামের বাড়িতে ফেলে আসে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
ঘটনার খবর পেয়ে ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইচার্জ (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে তানিয়াকে দেখতে যান এবং তার সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় শিশু গৃহকর্মী তানিয়ার চাচা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আসমা, স্বামী সাইফুল ইসলাম ও বোন নিটুকে আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তানিয়ায় মা কমলা বেগম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন ।
ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন জানান, ঘটনাটি ময়মনসিংহ সদরের। আমি কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে জানিয়েছি, তানিয়ার মা কমলা বেগম সেখানে গেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান, খবরটি রাতে শুনেছি। এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
এমএমজেড