ঢাকা, শনিবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই নিজ দলের কর্মীকে হত্যা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই নিজ দলের কর্মীকে হত্যা  ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী জাকির হোসেন।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ দলের কর্মীকে গুলি, বোমা মেরে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন গ্রেফতার হওয়া চারজনের মধ্যে দুই।  

ডিবি পুলিশের কাছে গ্রেফতারদের মধ্যে দুজন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

তাদের মধ্যে দুজনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শরীয়তপুর ও ঢাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী জাকির হোসেনসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে শরীয়তপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শরীয়তপুর ডিবি পুলিশের (ওসি) মো. সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শরীয়তপুর ডিবি পুলিশের (ওসি) মো. সাইফুল আলম ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক গাজী জাকির হোসেন প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ দলের কর্মী মালতকান্দি গ্রামের দলিল উদ্দিন মীর বহরের ছেলে আলমগীর হোসেন মীর বহরকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর মীর বহর প্রতিপক্ষের ৫৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছিলেন। মামলাটি পরে ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশ ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন, রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জয়নাল মাদবর, একই রাতে রাজনগর এলাকা থেকে শহীদুল ইসলাম মীর বহর, সাজ্জাদ সরদারকে গ্রেফতার করে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে শহীদুল ইসলাম মীর বহর, সাজ্জাদ সরদারকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী জাকির ও একই এলাকার গোলাম মাওলা মীরবহর এর মধ্যে স্থানীয় অধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় একাধিকবার সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ আগস্ট গভীর রাতে চেয়ারম্যান গাজী জাকিরের সমর্থক আলমগীর নামে এক যুবককে কুপিয়ে ও বোমা মেরে খুন করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আলমগীরের বড়ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে চেয়ারম্যান গাজী জাকিরের প্রতিপক্ষ গোলাম মাওলা মীরবহরসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করে। পরে পুলিশ তদন্ত করার জন্য মাঠে নামে। তদন্তে গাজী জাকিরের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকেসহ চারজনকে গ্রেফতার করে ডিবি পু্লিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।