ময়মনসিংহ: পাহাড়ি ঢলে সেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সরে যাওয়ায় সাঁকো দিয়ে পার হতে হয় সেতু। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কিন্তু দুই মাস পেরিয়ে গেলেও জনগুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক এ সড়কটি সংস্কারে নেই কোনো উদ্যোগ। এতে দৈনন্দিন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আনিসুর রহমান জানান, গত ১০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি কাঁচা সড়কের ওপর বেসরকারি সংস্থা ওর্য়াল্ড ভিশনের উদ্যোগে স্থানীয় নাঙ্গলজোড়া এলাকার খালে এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
তবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কোনো কার্যালয় বর্তমানে ধোবাউড়া উপজেলায় না থাকায় সংশ্লিষ্ট সেতুর নির্মাণ সাল সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরের জুলাই মাসে পাহাড়ি ঢলে ওই সেতুটির দু’পাশের সড়ক পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে যায়। এতে এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ দেখা দিলে সেচ্ছাশ্রমে বাঁশ দিয়ে নিজেরাই সেতু পার হতে একটি সাঁকো নির্মাণ করেন।
ফলে প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিদিন সাঁকো বেয়েই চলছে সেতু পারাপার। অনেক পথচারীকে সাইকেল কাঁধে নিয়েও সেতু পার হতে দেখা গেছে। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত ফসল আনা-নেওয়ায় এবং যানবাহন চলাচলে বিপাকে পড়েছেন তারা।
নাঙ্গলজোড়া গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী জিল্লুর রহমান জানান, সেতুটির সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় এলাকার অসুস্থ রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া-আসায় চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
গামারীতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, সেতুটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনূর ফেরদৌস জানান, কাঁচা সড়ক সংষ্কারে কোনো বরাদ্দ নেই। তবুও সেতুটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
কেএআর