বগুড়া: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে ২৩ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া পান ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেনের (৪৯) গলিত মরদেহ ঢাকার আশুলিয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঢাকার আশুলিয়া থানার মারামাং এলাকার একটি কাশবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজকে আটক করা হয়েছে।
নিহত মোফাজ্জল হোসেন বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের লক্ষীপুর চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আটকরা হলেন- বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার উপজেলার ভাসুবিহার গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে রুবেল (৩০), ইসাহাকের ছেলে মিলন (৪৫) এবং মৃত অমির উদ্দিনের ছেলে সামাদ (৫০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোফাজ্জল হোসেন ১৯ আগস্ট নিখোঁজ হন। পান ব্যবসার সুবাধে জেলার ভিতরে ও বাহিরে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতেন তিনি। নিখোঁজ হওয়ার দিন সকালে তিনি পান কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে মোফাজ্জলের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি ও মুঠোফোনও বন্ধ ছিল। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করে তাকে না পাওয়া গেলে ২৩ আগস্ট শিবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেন তার স্ত্রী রাশেদা বেগম।
শিবগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্র জানা গেছে, নিহত মোফাজ্জলের সঙ্গে ওই গ্রামের রুবেল বেশি সময় কাটাতেন বলে জানান রাশেদা। ঘটনার পর থেকে রুবেলও এলাকায় ছিল না। গত ৯ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট থেকে রুবেল গ্রামে আসলে তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রুবেল স্বীকার করে মোফাজ্জলকে তারা খুন করেছে।
সূত্রে আরও জানা যায়, ১৯ আগস্ট পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে মোফাজ্জলকে ডেকে নিয়ে মোকামতলা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে যায় রুবেল। পরে গলা কেটে মোফাজ্জলকে হত্যার পর আশুলিয়ার কাশবনে মরদেহ ফেলে রাখে তিনি।
এদিকে রুবেলের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মরদেহ উদ্ধার ও দুইজন অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহত মোফাজ্জলের স্ত্রী মামলা দায়ের করেছে। আটক তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
কেইউএ/এনএইচআর