ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নুসরাতের পেছনে যুদ্ধাপরাধী-সুশীল সিন্ডিকেট

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
নুসরাতের পেছনে যুদ্ধাপরাধী-সুশীল সিন্ডিকেট নুসরাত

মুনিয়ার মৃত্যুর মামলাকে জিইয়ে রাখতে উৎসাহী যুদ্ধাপরাধী এবং সুশীল সিন্ডিকেট এই মামলাটি যেন চলমান থাকে, জনমনে যেন এই মামলা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়, সেজন্য তৎপর এই যুদ্ধাপরাধী সিন্ডিকেট। এরা নুসরাতকে যেকোনো মূল্যে এই মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিচ্ছে এবং প্ররোচিত করছে।

নুসরাত যেন এই মামলা থেকে সরে না আসে সেজন্য যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছে নুসরাতকে।

মুনিয়া ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এবং সুশীল সমাজ দুটি কৌশল গ্রহণ করেছে।  

প্রথমত, আইনি সহায়তা, মুনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টিকে আইনি সহায়তা দিতে যুদ্ধাপরাধীদের অর্থায়নে একটি আইনজীবী প্যানেল করা হয়েছে। প্রকাশ্যে যে কজন আইনজীবী আছেন এরা সবাই জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধী ঘরনার। নেপথ্যে থেকে এদের সহায়তা দিচ্ছে সুশীল সমাজ নিয়ন্ত্রিত কয়েকজন আইনজীবী।  

দ্বিতীয়ত, মুনিয়ার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাগামহীন প্রচারণা এবং মিথ্যাচার করছে। যুদ্ধাপরাধীদের অর্থায়নে পরিচালিত কিছু তথাকথিত ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুকে এই ইস্যুতে অবিরাম মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি অথবা বসুন্ধরা শিল্প পরিবারকে ঘায়েল করার জন্য বা তাদের ইমেজ নষ্ট করার জন্যই হয়তো এতো আয়োজন। কিন্তু একটু অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, বসুন্ধরা গ্রুপ না মূল টার্গেট হলো সরকার।

বসুন্ধরা ইস্যুকে সামনে রেখে সরকারকে অস্থির করে তোলাই যুদ্ধাপরাধী এবং সুশীলদের মূল লক্ষ্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব নোংরা কথাবার্তা বলা হচ্ছে সেগুলোতে আক্রমণ করা হচ্ছে, পুলিশ বাহিনীকে, আইন ও বিচার মন্ত্রীকে এবং সরকারকে। পাশাপাশি এই ঘটনাকে রং মিশিয়ে প্রচারের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। অন্যান্য ব্যবসায়ীরা এই ঘটনায় আতঙ্ক অনুভব করছেন। কোনো কিছু না করেই, একজনকে না চিনে, না জেনেও যদি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে আসামি করা যায়।  

এ ধরনের খ্যাতিমান ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি যাচাই-বাছাই ছাড়াই মামলা আমলে নেওয়া হয়, তাহলে কোনো ব্যবসায়ীই নিরাপদ নয়। দেশের পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত ও বিব্রত করা, আইন ও বিচারমন্ত্রী, যনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে মুনিয়া ইস্যুতে একের পর এক নাটক সাজানো হচ্ছে।  

সোশাল মিডিয়াতে যুদ্ধাপরাধীদের টাকায় খোলা হয়েছে অনেকগুলো গুজবের ফ্যাক্টরি। এসবের মূল লক্ষ্য একটাই, সরকারকে বিব্রত করা। মুনিয়া ইস্যু আসলে সরকারের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী ও সুশীলদের সৃষ্ট নতুন নাটক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।