রাজশাহী: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু এর আগেই ঘাতকরা তাকে হত্যা করেছিল।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ের সব কর্মকর্তা ও রাজশাহী মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুদক সচিব এ মন্তব্য করেন।
সভায় আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ধারণা ছিল সরকারি কর্মচারীরা অর্থকষ্টে থাকলে দুর্নীতি করবে। সেই ধারণা থেকেই তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের একটি হাই পে-স্কেল দেন। তারপরও দেশ থেকে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হয়নি। বরং কর্মক্ষেত্রে আরও নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। আমাদের এ নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দূর করতে হবে। ১৭ কোটি মানুষের জন্য ২৫০-৩০০ লোক কাজ করে দুর্নীতি কমানো যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন নিজে নিজেই পরিশুদ্ধ হওয়া। দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসা।
সামান্য ৫০ হাজার টাকার একটি দুর্নীতি মামলার জন্য ২০-৩০ লাখ টাকার মামলা লড়তে হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনো লোক আপনাকে বলবে না যে, আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ আছে। তারা নিজে নিজেই সাবধানতা অবলম্বন করেন। মনে রাখতে হবে দুর্নীতি করে শুধু পাপেরই ভাগী হতে হয়। এ করোনাকালেও বিভিন্ন ত্রাণ-সামগ্রী নিয়ে কত রকমের দুর্নীতি হয়েছে তা কল্পনা করা যায় না। এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে আরও সোচ্চার হতে হবে।
দুদক সচিব বলেন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে পারলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতাম। আমরা দুর্নীতি নিয়ে অনেক কাজ করি। আপনারা দুর্নীতি করে টাকা রাখতে পারবেন না। দুর্নীতি করে শুধু ছেলে-মেয়েদের কাছে অপমানিত হতে হয়। আপনারা যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। দুর্নীতি ঢেকে রাখা যায় না। যেখানে পাবলিকের যাতায়াত বেশি সেখানেই দুর্নীতি বেশি। আপনাদের সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, কর্নেল সাব্বির আহমেদ ও রাজশাহী বিভাগের সব কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
এসএস/আরবি