ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় আসীন হবে বাংলাদেশ: পলক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় আসীন হবে বাংলাদেশ: পলক

নাটোর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে কৃষি, মৎস্যসহ সব সেক্টরে সুষম উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ।

সরকার কৃষি প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল ভিলেজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।

তিনি বলেন, আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের অভিষ্ঠ লক্ষ্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় আসীন হবে বাংলাদেশ। আর ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব শ্রেণীপেশার মানুষের সমষ্টিক উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জিত হবে।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলের তিশিখালি মাজার প্রাঙ্গণে উন্মুক্ত জলাশয়ে রুই জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি রাজস্ব খাতের আওতায় ৪৭০ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম, মৎস্য কর্মকর্তা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুল হাবিব রুবেল, চৌগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান প্রমুখ।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা চলনবিল হলরুমে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, নাবী পাট বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।  

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য খুব সহজেই পরিবহন ও বাজারজাত করতে পারছে। ঘরে বসেই কৃষকরা এখন বিভিন্ন কৃষিপণ্যের মূল্য তালিকা পাচ্ছে, পাশাপাশি পণ্যের ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছে অনায়াসে। এসব ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল।

তিনি আরো বলেন, কৃষিতে আধুনিকায়ন করার ফলে সুফল পাচ্ছে কৃষকরা। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, সেচে ভুর্তকি, সারের মূল্যহ্রাস, প্রণোদনা কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের হাতে উন্নত মানের বীজ, সারসহ নানা উপকরণ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা ঘরে বসে তাদের চাষাবাদ ও সমস্যা সমাধানে পরামর্শ পাচ্ছেন। সরকার ডিজিটাল কৃষি তথা ই-কৃষি প্রবর্তন করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের সময় সারের জন্য কৃষকদের জীবন দিতে হয়েছে। সারের জন্য বিএনপি নেতাদের পেছনে পেছনে ছুটতে হয়েছে। টাকা দিয়েও সার কিনতে পারেনি কৃষক। অথচ বর্তমান সরকার এখন বিনামূল্যে কৃষকদের সার দিচ্ছে। কৃষকদের আর সারের পেছনে পেছনে ঘুরতে হয় না। বর্তমানে চলনবিলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, খাল খননের ফলে কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে।

এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেলিম রেজাসহ রাজনৈতিক নেতারা, জনপ্রতিনিধি ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।  এসময় প্রতিমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৪০ জন ব্যক্তি ও ৫টি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকার চেক দেন। এর আগে নিজ বাসভবনে এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।