ঢাকা, সোমবার, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া বর্তমান সরকারের লক্ষ্য: খাদ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া বর্তমান সরকারের লক্ষ্য: খাদ্যমন্ত্রী ফাইল ফটো

ঢাকা: খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ সমন্বিতভাবে মোকাবিলার লক্ষ্যে খাদ্য ও পুষ্টি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।  

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আগারগাঁয়ে পর্যটন ভবন মিলনায়তনে ইউএন ফুড সিস্টেম সামিট-২০২১-এর প্রস্তুতির জন্য আয়োজিত ‘স্টেজ- থ্রী: মেম্বার স্টেট ডায়ালগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, ক্ষুধামুক্ত, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়া বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে অন্য খাতের ন্যায় দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও বাস্তবমুখী ও শক্তিশালী করতে বিষদ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকারসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আর সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতিমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে। সরকার বর্তমানে সবার জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে ‘ফুড সিস্টেম সামিট’ ২০২১ সালে আয়োজন করতে যাচ্ছে। ‘ফুড সিস্টেম সামিট’ এর প্রস্তুতির জন্য জাতীয় পর্যায়ে ডায়ালগ বা সংলাপের আয়োজক (ন্যাশনাল কনভেনার) হিসেবে মনোয়নপ্রাপ্ত হয়েছে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের জন্য পাথওয়ে ডকুমেন্ট প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যেম বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এ বিষয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে চায়।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সে লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি আমরা। এ জন্য জনগণকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তাদের নিরলস প্রচষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বঞ্চনাকে ক্রমশঃ দূরে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এ অগ্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সারিতে আসন নিশ্চিত করতে চাই।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. লুতফুল হাসান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো, জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার।  

অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, খাদ্য বিশেষজ্ঞ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
জিসিজি/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।