ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপটি বাংলাদেশ থেকে আরো পশ্চিমে সরে যাচ্ছে। দক্ষিণ ভারতের উড়িষ্যা দিয়ে এটি স্থলভাগে উঠে আসবে।
তবে দেশের উপকূল থেকে এখনো ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা কাটেনি। সমুদ্রবন্দরে বহাল রাখা হয়েছে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি আরো পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রাম এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এইসব কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারীধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ফলে সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পাবে।
ঢাকায় দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কি.মি., যা অস্থায়ীভাবে দমকা হওয়ায আকারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কি. মি. উঠে যেতে পারে।
বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যহত থাকবে। বর্ধিত পাঁচদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
সোমবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে গোপালগঞ্জে, ৪৭ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
ইইউডি/এমজেএফ