হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে এক নারীকে অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১১ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন চার ব্যক্তি। জেল খাটতে হয়েছে তিনজনকে।
জহুরা খাতুন শিমু নামে ওই নারীকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে হবিগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শিমুকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শিমু সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, শিমুকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন তার মা আমেনা খাতুন। রতনপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ, সুরাব আলী, আব্বাস মিয়া ও হারুন মিয়াকে এ মামলায় আসামি করা হয়। এরপর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পরে অবশ্য চারজনই উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। কিন্তু নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন তারা।
এরপর হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে আদালত ওই নারীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপর শিমুর সন্ধানে নামে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে শিমুকে গ্রেফতার করেন থানাটির উপ পরিদর্শক (এসআই) সনক কান্তি দাশ।
এসআই সনক বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিমু জানিয়েছেন, তাকে কেউ অপহরণ করেননি। পরিবারের পরামর্শে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে ১১ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের একটি কাপড়ের কারখানায় চাকরি করতেন। নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো। বাড়িতে টাকাও পাঠাতেন। শিমু আরও জানান যে প্রতিপক্ষ দুই পরিবারে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। দুই পক্ষই এর আগে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছিল।
তিনি আরও জানান, মামলাটি মিথ্যা উল্লেখ করে আদালতে দুইবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। কিন্তু বাদীপক্ষের নারাজি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। অবশেষে জানা গেল মামলাটি মিথ্যা। অপরাধ না করেই ভুক্তভোগী হয়েছেন চার আসামি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
এসআই