ঢাকা, শুক্রবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অগ্নিকাণ্ড থেকে নিরাপদ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
অগ্নিকাণ্ড থেকে নিরাপদ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে অগ্নি নির্বাপন মহড়া অনুষ্ঠিত, ছবি: সোলায়মান হোসেন শাওন ও শোয়েব মিথুন

ঢাকা: অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স। শপিং কমপ্লেক্সটিতে আগুন লাগলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি শনাক্ত করে দ্রুততম সময়ে রেসকিউ অপারেশন পরিচালনা করা সম্ভব।

 

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত দেশের সেরা গ্রাহক প্রিয় এ শপিং মলে অগ্নি নির্বাপন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং বসুন্ধরা সিটি কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষের শতাধিক সদস্য এ মহড়ায় অংশ নেন।  

মহড়া শেষে ফায়ার সার্ভিস দলের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল বাশার এ স্থাপনার অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।  

এক প্রশ্নের জবাবে বাশার বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের যে ঘটনা আমরা দেখেছি, যেমন বনানী বা হাসেম গ্রুপের কারখানার, সেগুলোর তুলনায় এখানকার অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই ভালো। এখানকার কর্মীরাও অগ্নি নিরাপত্তায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি আরো কমিয়ে আনা সম্ভব যদি সচেতনতা তৈরি করা যায়। তার জন্যই প্রতি বছর নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা এখানে ফায়ার ড্রিল আয়োজন করে থাকি।  

বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ইনচার্জ মেজর (অব.) মোহসিনুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, অগ্নিকাণ্ড ঘটবে না, এটা কখনোই বলা যায় না। তবে আমাদের এখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও পুরো স্থাপনা নিরাপদ। কাজেই যারা এখানে আসেন, দর্শনার্থী, ক্রেতা বা ব্যবসায়ী, তারা সবাই এখানে নিরাপদ। আগুন লাগলেও দ্রুততম সময়ে রেসকিউ অপারেশন শুরু করে সবাইকে বের করে আনা সম্ভব। অগ্নিকাণ্ড ঘটলে আমাদের ইলেকট্রিক্যাল প্যানেল স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করবে। প্রতিটি অগ্নি নির্বাপন গমন পথে একজন করে দায়িত্ব পালন করেন। এখানকার যেসব জরুরি সাইন, সেগুলো আইপিএস এ চলে, ফলে আগুন লাগলে বিদ্যুৎ চলে গেলেও, জরুরি নির্দেশক সাইনগুলো সচল থেকে জ্বলবে। ফলে সাধারণ মানুষ সেগুলো দেখে শপিং মল থেকে বের হয়ে যাবেন। এখানে আগুন নেভাতে এক লাখ গ্যালন পানি রিজার্ভ আছে। এছাড়া প্রয়োজন হলে নিরবচ্ছিন্ন পানির সরবরাহ দেওয়া যাবে।  

বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্টের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অব.) ফাহিম আহমেদ খান বলেন, আমাদের এখানে ফায়ার সেফটি প্রশিক্ষণ পাওয়া কর্মীদের আলাদা একটি দল আছে। তারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রশিক্ষণ পাওয়া। এ কর্মীরা আবার মার্কেটের ব্যবসায়ী ও অন্যান্য কর্মচারীদের অগ্নি নিরাপত্তায় প্রশিক্ষণ দেন। ফলে মাইক্রো লেভেলে কোনো অগ্নিকাণ্ড ঘটলে, তারাই নিভিয়ে ফেলতে পারবেন। প্রতি শিফটে ৩১ জন করে ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিয়োজিত থাকেন। আগুন লাগার কারণ ভেদে তিন ধরনের পাম্প রয়েছে আমাদের- ইলেকট্রিক, জকি এবং সাধারণ ওয়াটার পাম্প। দোকানের আকার ভেদে প্রতিটি দোকানে কমপক্ষে দু’টি করে ফায়ার এক্সটিংগুইশার রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে একবার করে ফায়ার ড্রিল করি আমরা। আর প্রতি মাসে একবার করে ঝটিকা ফায়ার ড্রিল করা হয়।  

আজকের মহড়ায় বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ফায়ার অ্যান্ড সেফটি শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর কবীর, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড, বসুন্ধরা স্টিল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, নিউ শিপ বিল্ডিং প্রজেক্ট ও বিসিডিএলের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সাদ তানভীর, বিসিডিএলের নির্বাহী পরিচালক (মেকানিক্যাল) মাহবুব মোর্শেদ খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
এস এইচ এস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।