ঢাকা: আবারও পিছিয়ে গেলো জনশুমারি কার্যক্রম। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে জনশুমারি ও গৃহগণনার পরিকল্পনা ছিল।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে ‘ওভারঅল আর্কিটেকচার অব ডিজিটাল সেনসাস ২০২১’ বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ কার্যক্রম প্রকল্পের ধীরগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোভিডের কারণে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। জনশুমারির সময় আবারও পেছাবে। অক্টোবরে শুমারির কাজ হবে না। বিষয়টি আমি সরকারপ্রধানকে (প্রধানমন্ত্রী) অবহিত করবো। তার দিকনির্দেশনা নেওয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা সঠিক জনশুমারি করতে পারবো। তবে আমরা মাঠ পর্যায়ে আর শুমারি করবো না। মাঠ পর্যায় থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য আনা অনেক ঝামেলা। প্রকল্পে কেনাকাটা ও টেন্ডার করা আরও ঝামেলা। আমার বিশ্বাস এমন একটা সময়ে যাবো যখন আর টেন্ডার করা লাগবে না। আঙুলে ক্লিক করলেই জানতে পারবো তথ্য।
মন্ত্রী আরও বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আর জনশুমারি করতে হবে না। জনশুমারির জন্য ১০ বছর অপেক্ষাও করা লাগবে না। এক সময় ঘড়ির কাটার মতো আমাদের সামনে টিক টিক করবে জনশুমারির তথ্যও। এক ক্লিকেই মাথা গুণতির খবর আমাদের সামনে আসবে।
এম এ মান্নান বলেন, আমাদের বিশ্বাস নিখুঁত না হলেও কাছাকাছি নিখুঁত শুমারি করতে পারবো। জনশুমারি একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দেশের নানা পরিকল্পনা নির্ভর করে জনশুমারির ওপর। দেশের কোথায় কী পরিকল্পনা করতে হবে, খাদ্য চাহিদা কতো, শিক্ষা ব্যবস্থায় কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে সবই নির্ভর করে জনশুমারির ওপর।
শুমারি বাস্তবায়নে মৃতব্যয়ী হতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কাজ করতে গিয়ে মৃতব্যয়ী হতে হবে। যেখানে ১ পয়সা ব্যয় করতে হবে সেখানে সোয়া পয়সা নয়। আবার যেখানে ১ পয়সা লাগবে সেখানে আধা পয়সাও খরচ করা যাবে না। কাজ করতে গিয়ে সঠিকভাবে ব্যয় করতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) প্রতিনিধি ড. আশা টরকেলসন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের পরিচালক কবির উদ্দিন আহাম্মদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
এমআইএস/এমজেএফ