ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত আব্দুল কাদের। গত ছয় বছরে হারানো ও ছিনতাই হওয়া তিন হাজার মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন তিনি।
শুধু কর্মস্থলের আওতাধীন এলাকা নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য অনেকে এএসআই কাদেরের দ্বারস্থ হন। তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করে তাদের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দেন। উদ্ধারের ক্ষেত্রে দুই দিন থেকে শুরু করে দুই বছর পর্যন্ত সময় লেগেছে তার।
এএসআই কাদের বলেন, মোবাইল ফোন উদ্ধারের ক্ষেত্রে আমি দাম বা ব্যক্তির মূল্যায়ন করি না। যত কম দামেরই হোক বা গরিব রিকশাচালক বা শ্রমিক যারই মোবাইল ফোন হোক, সমান গুরুত্ব দিই। কারণ অনেক মূল্যবান জিনিস হারিয়ে গেলে মানুষ ততটা কষ্ট পায় না যতটা পায় একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে। মোবাইল ফোনে অনেক স্মৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। এসব হারিয়ে গেলে অনেক ক্ষতি ও কষ্ট হয়। মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে যখন বলি আপনি একটা জিডি করেছিলেন, আপনার ফোনটি উদ্ধার হয়েছে তখন অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি। গত আড়াই বছরে শুধু গুলশান থানায় ৬০০ মোবাইল উদ্ধার করে গ্রাহককে ফিরিয়ে দিয়েছি। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ শতাধিক অভিযোগ আসে। নিজ থানা ছাড়াও নানা স্থান থেকে হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে পেতে ভুক্তভোগীরা আসেন। অনেকে আমাকে ফোন দেন। ব্যস্ততার কারণে ধরতে পারি না। কয়েক ঘণ্টা পরে ফোন করে জানতে চাই সমস্যার কথা। সবারই একই সমস্যা- ফোন হারিয়েছে।
ডিএমপি’র গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ সুপার নিউটন দাস বলেন, এএসআই কাদের অসংখ্য হারানো বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিয়েছে। এ কাজে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তিনি শুধু তার কর্মস্থলের আওতাধীন এলাকার মোবাইল উদ্ধার করছেন না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ মোবাইল ফোন উদ্ধারের বিষয়ে তার সাহায্য নেন।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এএসআই কাদেরের একাগ্রতা, নিষ্ঠা, কাজের প্রতি ভালোবাসা- এগুলো এ সময়ে সত্যিই বিরল। সেদিক দিয়ে তিনি নিঃসন্দেহে ভালো অফিসার। তার ওপর অর্পিত সব দায়িত্ব পালন করেই তিনি এ কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
এনএসআর