ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফরিদুল হকের বিরুদ্ধে করোনায় মৃত প্রতিটি মরদেহের জন্য ৩শ টাকা নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ৩৭ দিন পর হাসপাতাল পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ফজলুল কবীর বাংলানিউজকে জানান, সোমবার বিকেলে সিলগালা অবস্থায় প্রতিবেদনটি হাতে আসে। তবে অফিস সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটা দেখা হয়নি।
তিনি আরও জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদনের বাকি তথ্য জানানো সম্ভব হচ্ছে না। সুপারিশগুলো দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও জানান, তদন্ত চলাকালীন লাশবহনকারীদের বকেয়া পাওনা ১৮৭টি স্লিপের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, যা তাদের আবেদনে ছিল।
মমেক হাসপাতালে করোনায় মারা যাওয়া প্রতিটি লাশ বহনের জন্য হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফরিদুল হককে দিতে হয় ৩শ টাকা—এমন অভিযোগ এনে এর বিচার চেয়ে পরিচালক বরাবর গত ২৯ জুলাই আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন বেসরকারি মরদেহ বহনকারী সাত ব্যক্তি। আবেদনের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
দীর্ঘ ৩৭ দিন পর কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তদন্ত কমিটিতে ছিলেন মমেকের মেডিসিন ইউনিটের প্রধান ডা. খোরশেদ আলম, দন্ত বিভাগের খন্দকার ডা. আনোয়ার হোসেন, মেডিক্যাল অফিসার ডা. প্রজ্ঞা নন্দ ও সহকারী পরিচালক ডা. শেখ আলী রেজা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
আরএ