ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, প্রশাসন নীরব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, প্রশাসন নীরব

মানিকগঞ্জ: সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মানিকগঞ্জ ও ঢাকা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার গাজীখালি নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় নদীর পাড়সহ শসানঘাট ও ফসলি জমি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।  

সরকারি দলের নেতাকর্মীদের নাম ভাঙিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলতে জমির মালিকরা বাধা দিলে মারধরের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এমনকি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একাধিকবার নিষেধ করলেও কোনো কর্ণপাত না করে তাদের মতো করে নদী থেকে মাটি তুলছে। বিষয়টি মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েও কোনো সমাধান হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবারিয়া এলাকায় ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বারবারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনের অংশে ওই বালুর ভিটি তৈরি করছে বালু ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারবারিয়া এলাকার একাধিক কৃষক বাংলানিউজকে বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে তাদের ফসলি জমি। বিষয়টি মৌখিকভাবে ড্রেজার ব্যবসায়ীদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বরং এসব বিষয়ে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি করলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাত্তারের লোকজন। সব সময়ই ড্রেজার দেখাশোনার জন্য ৭-৮ জন লোক ড্রেজারের আশেপাশে থাকে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় কৃষকেরা।

ড্রেজার ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মবিনুর রহমান নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে বলেছেন। নদী খনন প্রকল্পের আওতায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করছি। আমার এই ব্যবসায়ের সঙ্গে আরও দুইজন ব্যবসায়ী রয়েছে।  

গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি মোবাইলে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার আব্দুস সাত্তারকে নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো তোয়াক্কা না করেই দেদারসে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে।  

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মবিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নদী খনন প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ৭ জুলাই সমাপ্ত হয়ে গেছে। সেখানে নদী খননের প্রকল্পের জন্য নদী থেকে মাটি বা বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি পুরোটাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাম ভাঙানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ধামরাই উপজেলার ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বাংলানিউজকে বলেন, গাজীখালি নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে অবশ্যই এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।