বাগেরহাট: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথ, চত্বর ও মাঠ প্রায় দেড় মাস ধরে পানিতে তলিয়ে আছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে পানি বেড়ে বিদ্যালয়ের মেঝে পর্যন্ত উঠে যায়। বর্তমানে প্রধান সড়ক থেকে বিদ্যালয়ের মাঠ পর্যন্ত প্রায় ৫০ ফুট এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয় ছুটির পর ওই সড়কে স্থানীয় শিশুদের ছিপ ফেলে মাছ ধরতে দেখা গেছে।
মূলঘর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ের সংযোগ সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি থাকে। ফলে প্যান্ট গুটিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া কখনো কখনো পানিতে তলিয়ে থাকা সড়কের খানাখন্দে পরে জামা কাপড় ও বইখাতা ভিজে যায় তাদের।
বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজিদ হাসান বাংলানিউজকে বলে, জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সামনে জমে থাকা পানিতে পা চুলকায়। বাড়ছে মশার উৎপাতও। দ্রুত পানি অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় সে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ওই এলাকায় বেশ কিছু প্রভাবশালী মানুষ ঘের তৈরি করেছেন। কিন্তু নদীতে পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা না রেখে বাঁধ দিয়েছেন তারা। ফলে স্কুলের প্রবেশ পথসহ আশপাশের বাগানবাড়িতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
মূলঘর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুন্সি শাহরিয়ার হাসান বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে বিদ্যালয়ে আসার সড়কটি সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে আছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২০ জন। তারা অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসছে। অতিদ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন।
এদিকে বুধবার বিকেলে বিদ্যালয় এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা বেগম ও মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার।
ফকিরহাট ইউএনও সানজিদা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয় এলাকায় জলাবদ্ধতার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। আশা করি দ্রুত শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব হবে।
মূলঘর ইউপি চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি স্থায়ী ড্রেন তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
এনএসআর