ঢাকা: দশ দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সিএনজি অটোরিক্সা চালক সংগ্রাম পরিষদ৷ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়৷
এতে বক্তব্য রাখেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ হানিফ, সদস্য আমিনুল ইসলাম, এ আর জাহাঙ্গীর ও গোলাপ হোসেন৷
মানববন্ধন থেকে উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
বিআরটিএ ঘোষণা অনুযায়ী সিএনজি অটোরিক্সা নিবন্ধন প্রদানের জন্য যাচাই বাছাইয়ের পর ঢাকায় ৩ হাজার ১৯৬ জন অটোরিক্সা চালকের কাছ থেকে বাংলাদেশে ব্যাংক ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জনপ্রতি ৫০ টাকা গ্রহণ করে আবেদনপত্র গ্রহণ করেন। যা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে, সিএনজি অটোরিক্সা চালককে নামমাত্র সরল সুদে সি.এন.জি অটোরিক্সা ক্রয় করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে (ভ্যাট, আমদানি শুল্কমুক্ত) ঋণ দিতে হবে।
' সিএনজি অটোরিক্সা চালক ছাড়া ব্যক্তি মালিকানায় সি.এন.জি অটোরিক্সা নিবন্ধন ( ব্লু-বুক) দেওয়া চলবে না। ঢাকায় মেট্রোতে সিএনজি অটোরিক্সার দৈনিক জমা ৫০০- টাকা ও অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে ৩০০- টাকা করতে হবে। ইয়েস পার্কিং না দেওয়া পর্যন্ত নো পার্কিং মামলা ও মিটারের মামলা চলবে না। বর্তমানে গাড়ির মালিক কর্তৃক সিএনজি অটোরিক্সা চালকের নিয়োগপত্র দিতে হবে। '
এছাড়াও রয়েছে- সহজ শর্তে ও অল্প অর্থে নতুন লাইসেন্স ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন করতে দিতে হবে। মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করতে দিতে হবে। চন্দ্রা হইতে টাঙ্গাইল শহর পর্যন্ত ও মাওয়া মহাসড়কে যেভাবে হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে প্রতিটি মহাসড়কে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন অবিলম্বে করতে হবে। যেহেতু সকল জনগণ সড়কের খাজনা দেয় সেহেতু আমজনতার দাবি সকল সড়কের খানা খন্দ রিপিয়ারিং করে জেব্রা ক্রসিং, স্প্রিড ব্রেকার ও রোড ডিভাইডার এবং শাখা সড়কে অ্যারো চিহ্ন দৃশ্যমান রঙে রঙিন করতে হবে। সমগ্র দেশের যে সকল সেতুগুলোতে টোলের ব্যবস্থা আছে, সিএনজি অটোরিক্সা ক্ষেত্রে টোল ৫০ শতাংশ কর্তন করতে হবে। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে এবং ঢাকা চট্টগ্রামের উড়ন্ত সড়কের নিচে পর্যাপ্ত খালি জায়গা আছে, সেখানে মনোরম পরিবেশে গণ শৌচাগার নির্মাণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
ডিএন/এসআইএস