ঢাকা, সোমবার, ২২ পৌষ ১৪৩১, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

একটি জেলা বাদে ২০৪৫ সালের মধ্যে সারাদেশ রেলওয়ের আওতায় আসবে

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
একটি জেলা বাদে ২০৪৫ সালের মধ্যে সারাদেশ রেলওয়ের আওতায় আসবে

পাবনা (ঈশ্বরদী): বাংলাদেশ রেলপথ পরিদর্শক অসীম কুমার তালুকদার বলেছেন, ২০৪৫ সালের মধ্যে একটি জেলা ছাড়া সারাদেশ রেলওয়ের আওতায় আসবে। ঈশ্বরদী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন হয়ে গেলেই ধারণক্ষমতা বেড়ে যাবে।

কারণ এই রেলরুটটি দেশের সবচেয়ে বড় রেলরুট।  

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদী থেকে রুপপুর পারমানবিক প্রকল্প পর্যন্ত রেললাইনসহ ঈশ্বরদী জংশন, লোকোসেড বিভিন্ন উন্নয়নকাজ পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।  

চলতি বছরের আগামী অক্টোবর মাসে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের রেলপথ মন্ত্রী ঈশ্বরদী-রুপপুর পারমাণবিক পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পটি কাজ শেষে উদ্বোধন করবেন। তবে সময় কিংবা তারিখ নির্ধারণ হয়নি।  

বাংলাদেশ রেলপথ পরিদর্শক (জিআইবিআর) অসীম কুমার তালুকদার আরও বলেন, ঈশ্বরদী থেকে আমরা জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন হয়ে গেলে এই রুটে নতুন অনেক ট্রেনই চালাতে পারব। সরকারের স্বদিচ্ছা আছে, ট্রেন বাড়ানো। কারণ মানুষের সবগুলো যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে ট্রেন ভ্রমণই সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করেন ট্রেনযাত্রীরা। তাই রেলবান্ধব সরকার অন্য খাতের চেয়ে রেলওয়ে খাতে বেশি ব্যায় করছে। বর্তমান রেলবান্ধব সরকার ৩৭টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কাজগুলো চলমান। এছাড়াও ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫২টি স্টেশন আধুনিকায়ন করার উদ্দ্যোগ হাতে রয়েছে। যা বাস্তবায়ন হলে ট্রেন যাত্রীরা নিরাপদে, স্বস্তিতে, আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারবে। দূর থেকে ঠিক বোঝা যায় না কিন্তুু সরকার দৃশ্যমান বাস্তবায়ন করছে।  

তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে আন্দোলনের নামে কতো হরতাল-অবরোধ হয়েছে। আমাদের  রেলবান্ধব সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে কখনো ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখেনি। বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। রেলপ্রেমী সরকার।  

এখনো মাঝে মাঝে কিছু সময় ট্রেন বিলম্বে চলাচল করে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা হয়। আমাদের রেলওয়েতে লোকবল সংকট রয়েছে। লোকবল নিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের সবগুলো প্রকল্প দৃশ্যমান বাস্তবায়ন হলে সঠিক সময়ে ট্রেন চলবে। যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি হবে না। বাংলাদেশ রেলওয়ে অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন রেলপথ পরিদর্শক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রকৌশলী আসাদূল হক আসাদ, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক ( ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম, পাকশি বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, পাকশি বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীরবল মণ্ডল, পাকশি বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম, পাকশি বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী আশীষ কুমার মণ্ডল, পাকশি বিভাগীয় সহকারী বানিজ্যিক কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম প্রমুখ।  

এছাড়া পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের কর্মকর্তা-ঈশ্বরদী স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মচারী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।