ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

অর্থ সহায়তাসহ বিভিন্ন দাবিতে সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদ সমাবেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
অর্থ সহায়তাসহ বিভিন্ন দাবিতে সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদ সমাবেশ ...

ঢাকা: এক বছরের জন্য সারাদেশের শিল্পকলা একাডেমির সকল মিলনায়তনের ভাড়া মওকুফ করাসহ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে পাঁচ হাজার টাকার বিশেষ অর্থ সহায়তার দাবিতে পূর্ব নির্ধারিত প্রতিবাদ সমাবেশের একদিন আগেই বৃহস্পতিবার হল ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত আসে শিল্পকলা একাডেমি থেকে। যার কারণে পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ি নাটক মঞ্চায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ঢাকা থিয়েটার ও আরণ্যক নাট্যদল।

তবে, বিশেষ অর্থ সহায়তার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ বাতিল করেনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

অধিকার আদায়ের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার চত্বরে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি ও চারুশিল্পীরা।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান ও শিল্পকলা একাডেমির মহপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট, চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি কামাল পাশা, সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন কেরামত মওলা, নৃত্যজন আমানুল হক প্রমুখ।

মামুনুর রশীদ বলেন, শিল্পকলা একাডেমি কোনো সংস্থা নয়, এটি শিল্পীদের বিকাশের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শিল্পকলা একাডেমি শিল্পের বিকাশে সেভাবে এগিয়ে আসছে না। পাশের দেশে সঙ্গীত ও নাটকের প্রতিষ্ঠান থাকার পাশাপাশি অনুদানের ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের দেশে এখনো শিল্পীদের যথাযথ মূল্যায়ন করছেনা। শুধু ঢাকা শিল্পকলা একাডেমি নয়, সারাদেশের সকল শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনগুলোর ভাড়া একবছরের জন্য মওকুফ করার পাশাপাশি শিল্পের এই আঙ্গিনায় অনুদান ও প্রণোদনাসহ আরও নানা দাবি আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্যালারি গ্র্যান্টের কথা বলছি। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের কারণে স্যালারি গ্র্যান্ট এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। দীর্ঘ ৫০ বছর নাটক করার পর আমরা এখন স্যালারি গ্র্যান্ট দাবি করতেই পারি। এটা আমাদের অধিকার। আমরা ভিক্ষা চাই না, অধিকার চাই। আমরা সরকার প্রধানের কাছে যাবো। তা না হলে আমাদের রাজপথতো রয়েছেই।

অন্য বক্তারা বলেন, সংস্কৃতিকর্মীরা দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছে। কিন্তু সরকার আমাদের সেভাবে আমাদের মূল্যায়ন করেনি। আন্দোলন ছাড়া কোনো দাবি আদায় সম্ভব নয়। অধিকার না পেলে দেশের সকল সংস্কৃতিকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আন্দোলনে যাবো।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা হল ভাড়া মওকুফ করেছি। ভবিষ্যতে মৎস্য ভবনের দখলকৃত শিল্পকলা একাডেমির জায়গাকে উদ্ধার করে সংস্কৃতির বিকাশে আরও ব্যাপক অবদান রাখবো। শিল্পীদের সকল দাবি পূরণে ও শিল্পের বিকাশে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে আমি আবেদন করবো। আশা করছি সংস্কৃতিবান্ধব সরকার সংস্কৃতিকর্মীদের সকল দাবি মেনে নিবেন।

গোলাম কুদ্দুছ বলেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের মাধ্যমে আমাদের দাবিগুলো আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
এইচএমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।