ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি লক্ষ্য করে হাতবোমা, সড়ক অবরোধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি লক্ষ্য করে হাতবোমা, সড়ক অবরোধ মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: বাংলানিউজ

পাবনা: পাবনার বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এম রফিকউল্লাহর বসতবাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।  

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার নগরবাড়ির রঘুনাথপুরে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদের চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কাশিনাথপুর মোড়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। এ সময় উভয় দিকের সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা।  

দুপুর ১২টার পরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়। তবে সড়ক অবরোধ তুলে নিলেও নগরবাড়ি ঘাট এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা ঘাট এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘাটের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

চেয়ারম্যান এএম রফিকউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, গত রাত ৩টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত আমার বাড়ি লক্ষ্য করে ১১টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া ৩টি শর্টগানের গুলি ছোড়ে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।  

তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুর সঙ্গে আমার নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার স্থানীয় একটি বাড়িতে দাওয়াতের অনুষ্ঠানে আমাকে দেখে তিনি সবার সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় আমি আমিনপুর থানায় একটি জিডি করেছি। আমার ধারণা জিডি করাতেই পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

রোববার সকালে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে চেয়ারম্যানের সমর্থকরা কাশিনাথপুর মোড়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এসময় প্রায় চার ঘণ্টা পাবনার সঙ্গে সমস্ত এলাকার পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। ঘুম ভেঙে আপনাদের কাছে প্রথম জানতে পারলাম।  

তিনি বলেন, সামনে জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। আমাকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার দলের মধ্যেই প্রতিপক্ষের সমর্থকরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।  

এ বিষয়ে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শান্ত রাখতে কাজ করছে।  

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে মহাসড়ক থেকে সরিযে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ঘাট এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।