বরগুনা: বরগুনার প্রধান তিনটি নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২৭ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা উপজেলার অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বিষখালী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের গুলশাখালী, ফুলঝুড়ি বাজার এলাকা, মাঝেরচর, সরিষামুড়ি ইউনিনের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকা, বড়ইতলা ফেরিঘাট, ফুলঝুড়ি খেয়াঘাট, পুরাঘাটা লঞ্চঘাট, খেয়াঘাট প্লাবিত হয়েছে। তবে কোথাও কোথাও ভাঙন দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক। এতে দু’পাড়ের ফেরি পারাপার হওয়া যানবাহনগুলো চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে বরগুনা সদর উপজেলার বড়ইতলা ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া ফেরিতে পারাপার হওয়া সাধারণ মানুষও পড়েছেন বিপাকে।
চলতি সপ্তাহে নদীর পানি বাড়ায় ফেরিঘাট এলাকা পুরোটা পানির নিচে ডুবে গেছে। আরেকটু পানি বাড়লে ফেরি চলাচল হয় তো বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে।
ফেরিতে পারাপার হওয়া মেহেতা এন্টারপ্রাইজের চালক মিরাজ বাংলানিউজকে বলেন, ফেরিঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় আমাদের পারাপারে নানা সমস্যা হচ্ছে। পারাপারেও ঝুঁকি বাড়ছে।
মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহিম বলেন, হাঁটু সমান পানিত মাড়িয়ে ফেরিতে উঠতে হয়। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
টমটমচালক ইউসুফ বলেন, গাড়িতে যে মালামাল আছে তা ভিজে গেলে মালিকের কাছে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আমার। তাই নদীর পানি না কমা পর্যন্ত বসে থাকতে হবে।
ফেরিঘাটের পাশের দোকানদার ফোরকান বাংলানিউজকে বলেন, আমার দেখা মতে দু’দিন ধরে পানি বেড়ে যাওয়ায় ফেরিঘাট ডুবে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ফেরিঘাট পারাপার হওয়া সাধারণ মানুষ।
বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান রাজা বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টির কারণে এবং স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধের বাইরে যে সব পরিবার বসবাস করেন, তাদের নিয়ে আমরা আতঙ্কিত। আমার ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা আছে এখনো বেড়িবাঁধের বাইরে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাঝেরচরের কয়েকটি গ্রাম ঝুঁকিতে আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরগুনা কার্যালয়ের পানি পরিমাপকারী মাহাতাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বিষখালী নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
এসআরএস