মাদারীপুর: আর মাত্র ছয়দিন পর সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মো. সোহেল শিকদারের (৩২)।
কিন্তু তার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তার মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসে। এর আগে রোববার সকাল ১০টার দিকে সেখানকার একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণ ঘটলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। নিহত সোহেল শিকদারের পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তার পারিবারিক সূত্রটি আরও জানায়, প্রায় আট বছর ধরে সৌদি আরবে থাকতেন সোহেল শিকদার। সেখানকার আল কাসিম এলাকার একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে তিনি কাজ করতেন। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ছুটিতে দেশে আসার কথা ছিল তার। গত রোববার ছিল শেষ কর্মদিবস। সকালে কাজে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার দিকে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়। নিহত সোহেল শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের রাজ্জাক শিকদারের ছেলে।
নিহত সোহেলের বাবা রাজ্জাক শিকদার বলেন, আর পাঁচদিন পরেই দেশে আসার কথা ছিল সোহেলের। গতকাল (রবিবার) কোম্পানিতে শেষ কাজ ছিল। অথচ আমার বাবা আর নাই।
নিহতের স্ত্রী রুবিনা আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলেমেয়ে পথ চেয়ে আছে বাবার। বাবা আসবে। আর দেখা হলো না। ছেলেমেয়ে বাবা বলে ডাকতে পারলো না।
নিহতের মামাতো ভাই আতিকুর রহমান পাভেল বলেন, সোহেল আট/নয় বছর ধরে বিদেশে থাকতো। আগামী শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তার বাড়ি আসার কথা ছিল।
আব্দুর রাজ্জাক শিকদারের দুই ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে সোহেল চতুর্থ। নিহত সোহেল মৃধার সাত মাস বয়সী মেয়ে ও চার বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি গত দেড় বছর আগে বাড়ি এসেছিলেন।
নিহতের পরিবারের দাবি, দ্রুত তার মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করা হোক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
এসআই