ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ফরিদগঞ্জে গৃহবধূকে অপহরণের পর ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
ফরিদগঞ্জে গৃহবধূকে অপহরণের পর ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক

চাঁদপুর: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক গৃহবধূকে কৌশলে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে হাবিব খানকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাশের হাইমচর উপজেলার আলগী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে চাঁদপুর আদালতে পাঠায় ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার মেডিক্যাল পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি নিতে তাকে চাঁদপুর সদরে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের ওয়ারিশ খান বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে হাবিব খান বাবু পেশায় অটোরিকশাচালক। কিন্তু তিনি নিজেকে একেক সময় একেক পরিচয় দিতেন। তিনি এর আগে বেশ কয়েকটি অটোরিকশা চুরির ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি নারীদের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মোবাইল ফোনে প্রেম-পরকীয়ার সর্ম্পক গড়ে তুলতেন। এছাড়া তার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে বহু নারীর সংসার ভেঙেছে।

আটক হাবিবের দ্বিতীয় স্ত্রী শামছুন্নাহার বেগম বলেন, হাবিব একাধিক বিয়ে করেছে। তিনি দ্বিতীয়। হাবিবের অত্যাচারের কারণে গত পাঁচ মাস আগে আমি বাবার বাড়িতে চলে এসেছি। ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া, রূপসা, প্রত্যাশী এলাকা ও শরীয়তপুর জেলা থেকে অবৈধ কর্মে লিপ্ত অবস্থায় আটক হওয়ার পর আমি নিজে অর্থ দিয়ে আমার স্বামীকে ছাড়িয়ে এনেছি।

ফরিদগঞ্জ থানার মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, এক গৃহবধূকে মাস খানেক আগে থেকে অভিযুক্ত হাবিব খান মোবাইল ফোনে বিরক্ত করে আসছিলেন। ওই নারী গত ১০ সেপ্টেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বাবার বাড়ি যান। এ কথা জানতে পেরে হাবিব খান তার এক সহযোগীকে নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে ওই গৃহবধূর পিত্রালয়ের পাশে ওঁৎ পেতে থাকেন। ওই গৃহবধূ ভোরে ঘর থেকে বের হওয়া মাত্রই তাকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে হাবিব খান তার এক সহযোগীর সহায়তায় অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে ওই গৃহবধূকে পাশের হাইমচর উপজেলার আলগী এলাকায় একটি ঘরে আটকে রাখেন। অভিযুক্ত হাবিব নিজে পুলিশে চাকরি করে, এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই গৃহবধূর বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজনকে মামলায় জড়িয়ে শেষ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন তিনি।

ঘটনার নয়দিন পর ওই গৃহবধূ কৌশলে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পালিয়ে তার বাবার বাড়ি চলে আসেন। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে জানানোর পরে তার বাবা বাদী হয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাবিব খানকে আটক করে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদ হোসেন বাংলানিউজকে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।