ঢাকা: জাতীয় চিড়িয়াখানার সীমানা প্রাচীর টপকে আসছে বহিরাগত হকার। বিক্রি করছে অস্বাস্থ্যকর আইসক্রিম।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
অভিযোগ করে দর্শনার্থী রাজীব পাটোয়ারী বলেন, চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে যে আইসক্রিমগুলো খাচ্ছি, এগুলো খুবই নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর। একটি আইসক্রিম তৈরি করতে যে ধরনের উপকরণ লাগে, তার কোনোটাই নেই এর মধ্যে। কোনো পানি বা জীবাণুমুক্ত আছে কি না, বিক্রেতারা তা কিছুই বলতে পারে না। চকবার, মালাই ও ললী আইসক্রিমে ব্যবহার করা হচ্ছে রং। টাকা দিয়ে কিনে খাচ্ছি বরফ।
তিনি আরও বলেন, গরমের মধ্যে সবাই তো ক্লান্তি দূর করতে আইসক্রিম খেতে চাইবে। তাই বলে কি মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর আইসক্রিম খাবে? বাচ্চারা এসব আইসক্রিম খেলে যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এগুলো নিয়ে ভাবে কে, এ বিষয়গুলো বুঝবে কে, এ নিয়ে কথা বলবে কে?
আইসক্রিম বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, পেটের দায়ে এখানে আসছি। আইসক্রিম বিক্রি করে কয়টা টাকা রোজগার করব। পরিবার নিয়ে দুটা খেয়ে-পরে বেঁচে থাকব। এখানে কাউকে কোনো টাকা দিতে হয় না। কাউকে কোনো কিছু বলে বিক্রি করি না এখানে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক আইসক্রিম বিক্রেতা বলেন, আমরা নিজেরা আইসক্রিম তৈরি করি না। আরেকজনের কাছ থেকে নিয়ে আসি। সে যেভাবে তৈরি করে দেয়, সেভাবেই নিয়ে আসি। এখানে ঘুরতে ঘুরতে মানুষের গরম লাগে, কষ্ট লাগে-তখন আইসক্রিম খায়। আর আমাগো কিছু টাকা রোজগার হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, বহিরাগত হকারদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আজকেও এখানে পুলিশ দিয়ে টহল দিয়েছিলাম। আমার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হকার তাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। আমি আজকে জুম মিটিংয়ে থাকায় চিড়িয়াখানায় মুভ করতে পারিনি। চিড়িয়াখানার অন্য কর্মকর্তারাও মিটিংয়ে ছিলেন। এই সুযোগটি নিয়েছে হকাররা। আমরা যেকোনো মূল্যে চিড়িয়াখানা থেকে হকার উচ্ছেদ করব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দর্শনার্থীদের সতর্কতার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। যেন হকারদের কাছ থেকে কিছু না খায়। দর্শনার্থীরা কম দামে পেয়ে খাচ্ছেন, এটা ঠিক নয়। হকার যেন চিড়িয়াখানার সীমানা প্রাচীর টপকে আসতে না পারে, সেজন্য আগামীকাল থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন:
দর্শনার্থী বেড়েছে চিড়িয়াখানায়
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
এমএমআই/জেএইচটি