ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নৌপথে ঢাকার দুই প্রান্ত এক করার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
নৌপথে ঢাকার দুই প্রান্ত এক করার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌপথে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছানোর স্বপ্ন নিয়ে এগুচ্ছেন বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান শেখ হাসিনার মতো  একজন মানুষ আমাদের মাঝে আছেন।

আমরা যেন নদী পথে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে ঘুরে অন্য প্রান্তে পৌঁছাতে পারি এমন একটি স্বপ্ন নিয়ে তিনি এগোতে চলছেন।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কামরাঙ্গীর চরের শেখ জামাল স্কুলের সামনে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আয়োজন করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী মায়ানমারের লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। যেখানে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ ৫০০-১০০০ মানুষকে আশ্রয় দিতে ভয় পায়, সেখানে তিনি লাখ লাখ উদ্বাস্তু মানুষকে আশ্রয় দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজকে যে নদীতে নৌকাবাইচ হচ্ছে, এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তিনি চান আমাদের সড়কে যে উন্নয়ন হয়েছে, ঠিক সেভাবেই নদীপথের যোগাযোগ উন্নয়ন হবে। নদীর যে ব্রিজগুলো নিচু ছিল সেগুলো ভেঙে নির্দিষ্ট উঁচু করার কাজ তিনি করতে যাচ্ছেন। নিজস্ব অর্থায়নে তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহস দেখিয়েছেন। আজকে নদীর নিচে টানেল হয়, আকাশের ওপর ট্রেন চলে। যা কেউ কখনো কল্পনা করে নাই,  সেগুলো বাস্তবায়ন তিনি করেছেন৷

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যারা নদী দখল করে, খাল দখল করে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। নদীতে ডেভলেপাররা বড় বড় ড্রেজার লাগিয়ে দেয়। তারা ড্রেজার লাগিয়ে উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম সব ভরাট করে ফেলে। আজকে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। আপনাদের কাছে একটাই কথা, আমাদের খেলার মাঠ, নদী-খালে দখল করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর বুড়িগঙ্গাকে ধরে রাখতে হবে। শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বালুসহ সমস্ত নদীকে ধরে রাখতে হবে।

এতে অতিথি হিনেবে ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম এবং হাজী মো. সেলিম।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।

অনুষ্ঠান শেষে লেজার শো এবং ফানুস ওড়ানো হয়।

৬০ মাঝি নৌকা বাইচে শেখবাড়ি দল প্রথম, সোনারতরী দল দ্বিতীয় এবং জয় বাংলা দল তৃতীয় হয়। ১২ মাঝি নৌকা বাইচে মারুফ খান দল প্রথম, হামিদ আলী দল দ্বিতীয় এবং  খায়রুল ইসলামের দল তৃতীয় হয়।

মোট ১১টি দল নৌকা বাইচে অংশ নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
ডিএন/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।