লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে একটি হত্যার ঘটনায় দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ সময় পৃথক আরেকটি মাদকের মামলায় এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা ও দায়রা জাজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম পৃথক দু’টি মামলার এ রায় দেন।
হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. মোহন (২৮) ও তারেক (২৫)। মোহন সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের মাইন উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় সিএনজি চালক ছিলেন। অন্য আসামি তারেক একই ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের আবদুল্লার পুত্র।
জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্র জানান, ২০১৩ সালের ২৭ জুলাই সদর উপজেলার পার্বতীনগরের বিজয়নগর গ্রামে মমিন উল্যা (২৩) নামে এক সিএনজি চালককের মরদেহ পাওয়া যায়। তার সিএনজিটি পৌর এলাকার রেহান উদ্দিন ভুঁইয়া সড়ক থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তার পিতা সুলতান আহম্মদ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি আদালতে মোহন ও তারেকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। এতে আসামিরা মমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আদালতের দীর্ঘ শুনানির পর ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি তারেক উপস্থিত থাকলেও প্রধান আসামি মোহন পলাতক ছিলেন।
সূত্র আরও জানায়, মাদক সংক্রান্ত লেনদেনের কারণে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। আদালতে ভুক্তভোগীর পরিবার ন্যায় বিচার পেয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি মো. জসিম উদ্দিন।
অন্যদিকে হত্যা মামলার দ্বিতীয় নম্বর আসামি তারেকের আইনজীবী আফরোজা ববি জানান, তারেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে খুনের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি ন্যায় বিচার পাননি। আসামিপক্ষ রায়ে সন্তুষ্ট নন। ন্যায় বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
এদিকে একই আদালত পৃথক একটি মাদক মামলায় গিয়াস উদ্দিন নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আসামি গিয়াস কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার সোনাপাড়া এলাকার পূর্ব পাংখালী গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর পুলিশ গিয়াসকে সদর উপজেলার দালালবাজার থেকে আটক করে। পরে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পেটের ভেতর থেকে এক হাজার ১২৫ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।
আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন বলে জানান জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
এনএইচআর