ঢাকা, বুধবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

দেশে জনসংখ্যা ও চালের চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
দেশে জনসংখ্যা ও চালের চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান নেই আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: বিভিন্ন কারণে দেশে চাল আমদানি করতে হচ্ছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে জনসংখ্যা ও চালের চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান নেই।  

তিনি বলেন, দেশে চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে।

কিন্তু নন-হিউম্যান কনজামশন বৃদ্ধিসহ নানা কারণে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। মাছ, পোল্ট্রি, প্রাণী খাদ্য ও স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ফলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।  

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনায়তনে ‘ফার্ম সেক্টর অব বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

ফোরাম ফর ইনফরমেশন ডিসেমিনেশন অন অ্যাগ্রিকালচার (ফিডা) ও সিনজেন্টা বাংলাদেশ লিমিটেড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দেশে চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। গড় উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে। এখন দেশে প্রতি শতাংশ জমিতে ১ মণ করে ধান উৎপাদন হয়। তারপরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে নানা কারণে। দেশে জনসংখ্যা ও চালের চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। অন্যদিকে বছর বছর জনসংখ্যা বাড়ছে, চাষের জমি কমছে। অন্যান্য ফসলের চাষেও জমি ব্যবহার হচ্ছে। দেশে বছরে এখন ৬০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। আগে যে ক্ষেতে ধান চাষ হতো সেখানেই ভুট্টা চাষ হচ্ছে।  

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে যেভাবে পারছে দেশের বাইরে থেকে নতুন ধরনের ফসলের জাত নিয়ে আসছে ও চাষ করছে। এটিকে আমরা উৎসাহ দেই, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে দেখতে হবে দেশে এসব ফসল চাষে কোনো ঝুঁকি বা স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে কিনা। এসব ফসল চাষ আদৌ আমাদের প্রয়োজন আছে কিনা।

দেশের কৃষির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ‘ফার্ম সেক্টর অব বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ বইটি ফিডা ও সিনজেন্টা বাংলাদেশ ফেলোশিপের আওতায় প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রশংসা করে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রাইভেট সেক্টর ও সাংবাদিকদের এ যৌথ উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাই। আমরা কৃষিকে বাণিজ্যিক, আধুনিক ও লাভজনক করতে চাই। এক্ষেত্রে মিডিয়ার বিরাট ভূমিকা রয়েছে। প্রাইভেট সেক্টরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

ফিডার সভাপতি রিয়াজ আহমদের সভাপতিত্বে বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বারির মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনিরুল আলম, ফিডার সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবলু, ফিডার সদস্য কাউসার রহমান, সিনজেন্টার ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
জিসিজি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।